চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ১১ ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ

২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পূর্ব নির্ধারিত সূচীতে ১১ ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। যেখানে প্রতিপক্ষ সাত দেশ খেলবে ত্রিশটির ওপরে ম্যাচ। তাই ভালো প্রস্তুতির জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডসহ আরো একটি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা চালাবে বিসিবি। এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ সভাপতি মাহবুব আনাম।

২০১৪ এর বাংলাদেশ। ঘরের মাটিতে এশিয়া কাপ, বিশ্ব টিটোয়েন্টিতে ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হতাশাজনক পারফর‍ম্যান্স। দু:স্বপ্নের একটা বছর কাটায় সাকিব-মুশফিকরা।

হারের গ্লানির চেয়ে বেশী ম্যাচ খেলার সুফল দেরীতে হলেও পায় বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপের পর একে একে সাফল্য ধরা দিয়েছে পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজে। প্যাকেজ।

তারই ধারাবাহিকতায় র‍্যাংকিংয়ের সাতে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন। কিন্তু ভবিষ্যত সূচীতে কম ওয়ানডে ম্যাচ থাকায় ইংল্যান্ডের ওই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন জাগতে পারে। প্যাকেজ।

যেহেতু এখন আর এফটিপি নেই, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বড় দেশগুলো, এরই মধ্যে নিজেদের সূচী চূড়ান্ত করে ফেলেছে। যার প্রস্তুতি স্বরুপ ইংল্যান্ড খেলবে সবচেয়ে বেশী ৪৫ ওয়ানডে। সবমিলে ১১ ওয়ানডে বাংলাদেশের। পক্ষান্তরে তিনগুন বেশী ম্যাচ খেলবে কোয়ালিফাই করা বাকী সাত দেশ। সবারই ওয়ানডে ত্রিশটির ওপরে। টেস্ট ম্যাচের হিসেবেও বাকি সাত দেশের ধারে কাছে নেই বাংলাদেশ।

এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ জানুয়ারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে , যেখানে আছে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। হোম সিরিজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে আর ২০১৬র শেষদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। ২০১৬ এর এপ্রিল থেকে অক্টোবর, সূচীতে এই সময়টা খালি।

তাই সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি বিসিবির।

ম্যাচের হিসেবে ওয়ানডে-টেস্টে বাংলাদেশ বঞ্চিত থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে বাকীদের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টিটোয়েন্টির আগে সবচেয়ে বেশী ১৩ ম্যাচ খেলবে ভারত। অন্যদের তুলনায় বাংলাদেশের ৬ ম্যাচকে খুব একটা খারাপ বলা যাবেনা।-চ্যানেল২৪



মন্তব্য চালু নেই