চোরাকারবারিদের তালিকা যাচ্ছে ভারতে
জাল নোট, মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণসহ সব ধরনের চোরাচালানকারীদের তালিকা হস্তান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরে বুধবার থেকে শুরু হওয়া জাল নোটের অপতৎপরতা রোধে গঠিত টাস্কফোর্সের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এখন হালনাগাদ চলছে। তবে ভারত এখনো তালিকা তৈরির কাজ শেষ করেনি। তালিকা তৈরির কাজ শেষ হলেই তা বিনিময় করে জোড়ালো পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মোখলেসুর রহমান জানান, জালনোট ছাড়াও অন্যান্য চোরাচালান বন্ধে ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ এর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চোরাচালান বন্ধে ভারত সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।
ভারত জাল টাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলেও বাংলাদেশ থেকে স্বর্ণের চোরাচালান যাচ্ছে ভারতে। এক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘শুধু জাল টাকাই নয় আমরা সব ধরনের চোরাচালান নিয়েই কথা বলেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে এনআইএ এর প্রধান এস কে সিং বলেন, ‘অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সকল ধরনের চোরাচালান বন্ধে যৌথভাবে কাজ করছি। খুব দ্রুত চোরাচালান আরও কমে আসবে।’ এরই মধ্যে ভারত থেকে বাংলাদেশে মাদক চোরাচালান কমে এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ এর প্রধান এস কে সিং এর নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় অবস্থান করছে
মন্তব্য চালু নেই