চীনের কাছ থেকে ২টি সাবমেরিন কিনলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে চীনের তৈরি দুই সাবমেরিন। সোমবার বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের কাছে সাবমেরিন দুটি হস্তান্তর করা হয়। দুই সাবমেরিনের জন্য চীনকে ২০৩ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে বেইজিং-এর সঙ্গে বাংলাদেশের বর্ধিত অর্থনৈতিক ও সামরিক বন্ধনের বিষয়টি ফের সামনে চলে আসলো। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন-এর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
আগামী বছরের গোড়ার দিকে এ সাবমেরিনগুলো বাংলাদেশের নৌবহরে যুক্ত হবে। এর ফলে ত্রিমাত্রিক নৌশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। বঙ্গোপসাগরে নিজের বর্ধিত সমরশক্তির জানান দেবে বাংলাদেশ।
সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র তাপসী রাবেয়া বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে এই প্রথম সাবমেরিন যুক্ত হলো।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, এ সাবমেরিনগুলোর মাধ্যমে সমুদ্রের এক লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত হবে। এটা বাংলাদেশের মোট ভূখণ্ডের চেয়ে সামান্য কম।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ। একটি নতুন বিমানঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে। চালু হয়েছে নতুন ক্যান্টনমেন্ট। নৌবহরে যুক্ত হয়েছে নতুন ফ্রিগেট।
২০১৩ সালে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সম্পাদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চুক্তিতে রাশিয়ার কাছ থেকে ফাইটার ট্রেনিং জেট, হেলিকপ্টার ও ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মিসাইল কেনার কথা উল্লেখ রয়েছে। ওই বছরই নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে এবং বঙ্গোপসাগরে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে দুটি সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
মন্তব্য চালু নেই