চিরিরবন্দরের গ্রামীন রাস্তার গুলোর বেহাল দশা ”চরম র্দুভোগ

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর( দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়নে যত্র তত্র ভাবে ইটভাটা নির্মানে প্রতিটি গ্রাম অঞ্চলের কাঁচা রাস্তা গুলোর বেহাল দশা। গত কয়েক বছরের তুলনায় চিরিরবন্দর উপজেলায় এ বছর ৯টি নতুন ইটভাটা নির্মান হাওয়ায় গ্রাম অঞ্চলের কোন রাস্তায় বাদ নেই ভারী যানবাহন ও দূর্ঘনার ঝুঁকি থাকা যানবাহন ট্রাক্টরের। বিশেষ করে নশরতপুর, সাতনালা,ফতেজংপুর, সাইতীড়া,আব্দুলপুর ও ইসবপুর এসব ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তা গুলিতে প্রায় সব রাস্তার অলিতে গলিতে দাফিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর । বর্ষা কালে টানা বর্ষনে রাস্তা গুলো দুই দিক থেকে ভেঙ্গে গেছে । আবার তার উপর দিয়ে ধরা মৌসুমে নদী থেকে বালি ,আর ভাটা থেকে ইট আর ইটভাটার মাটি বহন করে ট্রাক্টর গুলি দিন রাত ছুটা ছুটি করছে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে।

এছাড়া কিছু নতুন ভাটা যোগ হাওয়ায় ভাটার মাটি সংগ্রহ করতে ব্যাস্ত ইটভাটা মালিকরা। গ্রামের যেখান থেকে পাচ্ছে মাটি কেঁটে নিয়ে আসতেছে। উপজেলার প্রায় সব এলাকা থেকে মাটি সংরক্ষন করছে। মাটি সংরক্ষন করতে গিয়ে ট্রাক্টরের আনাগোনা বেড়েই চলছে । বাদ যাচ্ছে না কোন কাঁচা রাস্তা। মানুষের যাতায়েতে জনদূর্ভোগের শেষ নেই ।কাঁচা রাস্তা গুলোতে তৈরী হয়েছে বড় বড় গর্ত আর তৈরী হয়েছে এক হাটু ধুলা, অতিষ্ট জনজীবন।

সাতনালা ইউনিয়নের বাসিন্দা এক স্কুল শিক্ষক মো: শাহীনুর রহমান বলেন, এভাবে ট্রাক্টর যাতায়েত বেড়ে চললে কাঁচা রাস্তা গুলো আর রাস্তা থাকবে না , বৈরী আবাওয়া থাকলে ধুলোর কারনে বাড়ি থেকে বের হাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে । তাছাড়া চিরিরবন্দর উপজেলায় অনুমোদন হীন তৈরী হচ্ছে ইটভাটা। এরা মানছে না কোন পরিবেশ দূর্ষন যার প্রভাব পড়ছে স্কুলগামী ছাত্র ছাত্রীদের।

এ ব্যাপারে সাতনালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ফজলুর রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা সমন্বয় কমিটি হাওয়ার কথা আছে সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।নশরতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম নুরু জানান, আমরা বরাদ্ধ পেলেই এই কাঁচা রাস্তা গুলো সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

উপজেলা প্রকৌশলী মো: ফিরোজ আহমেদ জানান, কিছু কাঁচা রাস্তার সংস্কারের জন্য মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন আসলেই কাঁচারাস্তা গুলোর সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই