চিনে নিন আপনার দৈনন্দিন জীবনের ৭ বিষাক্ত সামগ্রী!

সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা অনেক কিছু করে থাকি। স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ঘর পরিস্কার আরও কত কি! কিন্তু আমরা নিয়মিত ব্যবহার করছি এমন কিছু সামগ্রী যা আমাদের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। আমরা অনেকেই জীবাণু মুক্ত থাকার জন্য অ্যান্টিসেপ্টিক সাবান ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই ধরণের সাবানে ট্রাইক্লোসান নামের একধরণের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

১। ননস্টিক কুকওয়ার

কম তেলে দ্রুত রান্না হওয়ার কারণে ননস্টিক প্যান বর্তমান সময়ে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ননস্টিক প্যানে পারফ্লুওক্টানয়েক অ্যাসিড (পিএফওএ) নামে এক ধরণের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ আছে। উচ্চতাপে রান্না করলে এই পদার্থ খাবারের সাথে মিশে যায়। এর কারণে ক্যান্সারের মত মরণব্যাধিও হতে পারে। আপনি স্টেনাস্টিল বা সেরামিক বা লোহার পাত্র ব্যবহার করা ভাল।

২। প্লাস্টিক বোতল এবং কনটেইনার

প্লাস্টিকের বোতল বা পাত্রে বিসফেনাল (বিপিএ) নামের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা পাত্রে রাখা খাবারের সঙ্গে মিশে শরীরে ঢুকে যায়। বিশেষ করে এটি যখন মাইক্রোওয়েভ বা গরম করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কাঁচের বোতল, গ্লাস বা স্টেইনলেস স্টিলের জিনিসপত্র ব্যবহার করুন।

৩। এয়ার ফ্রেশনার

রুম ফ্রেশনার ঘরে সুগন্ধ ছড়িয়ে দিয়ে থাকে। কিন্তু এতে ডিক্লোরোবেনজেন, ফোরম্লাডিহেড নামক বিষাক্ত উপাদান আছে যা শরীরে একাধিক রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এতে ঠান্ডা ঘাম, খিঁচুনি, কোমা ক্যান্সারের মত রোগও হতে পারে।

৪। রান্নাঘরের পরিস্কারক জিনিসপত্র

রান্নাঘরের বেসিন, চুলা, সিঙ্ক ইত্যাদি পরিস্কার করার জন্য লিকুইয়েড ক্লিনার ব্যবহার করে থাকি। এই ধরণের পরিস্কারক সামগ্রীতে নানা ধরণের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আপনি এর পরিবর্তে লেবুর রস, বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন।

৫। আসবাবপত্র পলিশ

আসবাবপত্র পলিশ বা দাগ দূর করার জন্য বিভিন্ন স্প্রে পাওয়া যায়। এই স্প্রেগুলো বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে যা হাতের স্পর্শে আমাদের ত্বকে প্রবেশ করে স্কিন ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।

৬। পুরনো তেল ও মশলা

রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য আমরা প্রায়ই বিভিন্ন মশলা এবং অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করে থাকি। অনেক দিন ধরে তেল বা মশলা জমিয়ে রাখলে তা ধীরে ধীরে বিষে পরিণত হয়। তাজা থাকতে ব্যবহার করা হলে আপনি এর স্বাস্থ্যগত গুণগুলো পাবেন।

৭। পারফিউম বা সুগন্ধী

একটি পারফিউমে প্রায় ৩০০ এর মত রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান ত্বকের সাথে মিশে ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করে থাকে। পাড়ফিউম ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন।



মন্তব্য চালু নেই