চা বিক্রেতাকে পুড়িয়ে হত্যা: ৪ পুলিশ দোষী
চাঁদা না পেয়ে চা বিক্রেতাকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা তদন্তে গঠিত পুলিশের একটি কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
রোববার কমিটি তাদের ওই প্রতিবেদনে শাহ আলী থানা পুলিশের চার সদস্যকে দোষী বলে উল্লেখ করেছে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার বিভাগীয় তদন্তেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে শাহ আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মমিনুর রহমান খান, এসআই নিয়াজউদ্দিন মোল্লা ও এএসআই দেবেন্দ্র নাথসহ থানার পাঁচ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহীন মণ্ডলকে প্রত্যাহার করা হয়।
বাবুলকে মারধর ও কেরোসিনের চুলার ওপর ফেলে দিয়ে দগ্ধ করার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার পুলিশ দুটি কমিটি গঠন করে। মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাসুদ আহমদ খানকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরের উপকমিশনার (শৃঙ্খলা) টুটুল চক্রবর্তীকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দেলোয়ার নামে এক পুলিশ সদস্য চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জ্বলন্ত চুলায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তেল ছিটকে দগ্ধ হন বাবুল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন মিরপুর-১ বেড়িবাঁধ কিংশুক সমিতির গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে বাবুলের ছেলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন পরদিন সে মারা যায়।
মন্তব্য চালু নেই