শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়মের পরিপত্র

চাহিদার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করবে এনটিআরসিএ

বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। নতুন নিয়মে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাহিদার ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নির্বাচন করে দেবে।

বুধবার শিক্ষক নিয়োগে নতুন নিয়মের পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নতুন এ ব্যবস্থায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা হারালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি।

গত ২১ অক্টোবর ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা, ২০০৬’ সংশোধন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর ১১ নভেম্বর থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধিত বিধিমালার ভিত্তিতেই নতুন পরিপত্রটি জারি করা হয়েছে। নিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষক নিয়োগের চাদিহাপত্র উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে পাঠাবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইউএনও সব প্রতিষ্ঠানের চাহিদাপত্র একত্রিত করে তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষকদের চাহিদাপত্র এনটিআরসিএতে জমা দেবেন।

এনটিআরসিএ প্রতি বছর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে চাহিদা অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক জাতীয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং উপজেলাওয়ারী মেধাক্রম করে ফল ঘোষণা করবে।

শিক্ষকদের চাহিদা অনুযায়ী এনটিআরসিএ মেধানুযায়ী উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে প্রার্থীর তালিকা করবে। উপজেলায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে জেলা মেধা তালিকা এবং তাতেও প্রার্থী না মিললে বিভাগীয় মেধা তালিকাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, উপজেলা থেকে বিভাগীয় মেধা তালিকায়ও যদি যোগ্য প্রার্থী না যায় তবে তবে জাতীয় মেধা তালিকা বিবেচনা করা হবে।

বিভাগীয় সদর এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রার্থী অগ্রাধিকার পাবেন। বিভাগীয় তালিকায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে জাতীয় মেধা তালিকা থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে জাতীয় মেধা তালিকা অনুসরণ করা হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, কর্মরত কোনো শিক্ষক যদি অন্য প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পেতে চান তবে তাকেও অন্য আবেদনকারীদের মতই মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হবে।

পরিপত্র অনুযায়ী, এর আগে যারা মেধা তালিকা ছাড়াই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত ঐচ্ছিক বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য মেধাক্রম নির্ধারণ করতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই