চালক ছাড়াই চলল ট্রেন, তারপর যা ঘটল

ট্রেনটিও বিকল। ইঞ্জিনরুমে চালক নেই। ছিলেন অন্য কামরায়। ইঞ্জিনিয়াররা এগিয়ে যাচ্ছিলেন ট্রেনটির দিকে। উদ্দেশ্য মেরামতের। কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা সামনে এগোতেই চালক বিহীন ট্রেনটি ছুটতে লাগল!

না। এটি কোন নতুন প্রযুক্তির কারণে নয়। যান্ত্রিকত্রুটির কারণেই সোমবার যাত্রীসমেত মারগাঁও-নিজামুদ্দিন রাজধানী এক্সপ্রেস প্রায় ১৫ কিলোমিটার চালক ছাড়াই চলে যায় বলে একটি ভারতীয় সংবাদপত্র দাবি করেছে।

ওই সংবাদপত্রটির দাবি, তাদের এক কর্মী ওই ট্রেনটিতে যাত্রা করছিলেন। রত্নাগিরি স্টেশনের কাছে সন্ধে ছ’টা নাগাদ ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। রেলকর্মীরা ইঞ্জিন ঠিক করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঢালু লাইন বেয়ে ট্রেনটি গড়াতে শুরু করে।

অভিযোগ সেই সময়ে ট্রেনের চালক গার্ডের কামরায় ছিলেন। কিন্তু ট্রেনটি দ্রুতগতিতে চলতে শুরু করে যে তিনি ইঞ্জিনে ফিরতে পারেননি। এইভাবে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এগিয়ে যাওয়ার পরে একটি উঁচু জায়গায় এসে ট্রেনটির গতি কমে। চালক তখন ইঞ্জিনে উঠে ট্রেন দাঁড় করান। এরপরে অন্য একটি ইঞ্জিন নিয়ে এসে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করা হয়।

ওই সংবাদপত্রের দাবি, রেলের একাধিক শীর্ষকর্তাও ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। যদিও, কোনকান রেলওয়ের এমডি সঞ্জয় গুপ্ত দাবি করেছেন, চালক বিহীন অবস্থায় ট্রেন এগিয়ে যাওয়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। যদিও ইঞ্জিনে যান্ত্রিক গোলযোগের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। যার জেরে ট্রেন কিছুটা এগিয়ে যায় বলেও জানিয়েছেন তিনি। রেলের পক্ষ থেকে ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঘটনা সত্যি হলে যে যাত্রীরা বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মনে করা হচ্ছে, ট্রেনের ভ্যাকুয়াম ব্রেক কাজ না করাতেই দাঁড়ানো ট্রেন লাইন ধরে গড়াতে শুরু করে।



মন্তব্য চালু নেই