‘চামচামি করে ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে আমি আগ্রহী নই’

গত এগারো বছরে ভারত থেকে প্রচুর শো এসেছে আমার কাছে, আমি এজেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি, আমার ভিসা হবেনা। তবুও নাছোড়বান্দা ইন্ডিয়ান প্রমোটররা বলতেই থাকে ওখানে যেতেই হবে। এবার ভারত যাবার দাওয়াত এসেছে ঐতিহ্যবাহী ভেনাস রেকর্ডস থেকে, সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তৃণমূল কংগ্রেস থেকেও।

রেকর্ডিংয়ের কাজে কলকাতা ও মুম্বাই যাওয়ার কথা। শক্তিশালী দাওয়াত পেয়ে শ্রী প্রীতমকে সঙ্গে করে গেলাম ভারতীয় হাই কমিশনে। উষ্ণ আতিথেয়তায় মুগ্ধ হলাম। প্রত্যেকেই আমাকে চমৎকার সম্মানের সাথে রিসিভ করেছেন। ২৫ অক্টোবর ভিসা হওয়ার কথা, পাসপোর্ট ডেলিভারী নিতে যাবো। দুপুর নাগাদ নিশ্চিত হওয়া গেলো তারা আমাকে ভিসা দেয়নি।

কারণ জিজ্ঞেস করতেই বললো, টেকনিক্যাল কাণেে ভিসা দেয়া সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। হাইকমিশনের লোকেরা বদলীর চাকরি করে, পুরনো হিসেব তাদের জানার কথাও নয়, তারাও নিজেরাও আপসেট।

আমি গর্বিত- একশো ত্রিশ কোটি মানুষের দেশ ভারত আমার মত একজন আসিফকে কাঊন্ট করে, এগারো বছরের পুরনো ক্ষততে এখনো মলম দেয়। টেকনিক্যাল কারণটা আমি জানি। হাইকমিশনের তৎকালীন ফার্ষ্ট সেক্রেটারি প্রয়াত দীপক রায় আমাকে প্রচন্ড স্নেহ করতেন।

উনার কাছে আট দিন পাসপোর্ট জমা ছিলো, পরে ফেরত দিয়ে বললেন, তোমার ভিসা হবে না। ইনিয়ে বিনিয়ে চামচামি করে ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে আমি মোটেও আগ্রহী নই। সুযোগ হয়েছে হিন্দীতে গান গাওয়ার। কলকাতা মুম্বাইয়ের শুভাকঙ্খীরা হতাশ হলেও আমি বলছি, আমি হিন্দীতে গাইবো, সঙ্গীতের কোন বাউন্ডারী নেই।

অদৃশ্য বাউন্ডারী তৈরি করে আমাকে দাবিয়ে রাখা যাবেনা। আমার দেশে আপনাদের দাওয়াত রইলো, সঙ্গে উষ্ণ শুভকামনা । আমার বাংলাদেশের কথা আমি বলেই যাবো। ২০০৪ সালে প্রথম অ্যালবাম ও প্রিয়া তুমি কোথায় দিয়ে সংগীত জগতে খ্যাতির শিখরে ওঠে আসেন আসিফ।

সূত্র: বেঙ্গলি টাইমস



মন্তব্য চালু নেই