‘চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না’
সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা করণীয়, সাংবিধানিকভাবে ও আইন কানুনের ভিত্তিতে আমরা সব কিছুই করেবো। এ বিষয়ে আমরা সবার সহযোগিতা ও সমর্থন চাই। কোনো দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠির চাপের কাছে নতি স্বীকার করবো না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যদের সাথে এ দায়িত্ব যথাযথ মর্যাদার সাথে পালনের আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
দেশের ১২ তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরদিন মঙ্গলবার কেএম নুরুল হুদা এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর উত্তরার পাঁচ নম্বর সেক্টরের ১/এ রোডের ২৯ নম্বর বাড়িতে বসবাস নুরুল হুদার। সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সাথে সাথে সরকারের পক্ষ থেকে ওই বাড়িতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফোনে জানিয়েছিলেন তিনি বেলা আড়াইটা পর্যন্ত বাসায় থাকবেন। কিন্তু বেলা পৌনে দুইটায় সেখানে পৌঁছে জানা গেলো তিনি এখুনি বের হবেন। মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়ে যাবেন। এই তাড়াহুড়ার মধ্যেই তিনি বললেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করাই এখন নতুন কমিশনের মূল চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে কমিশন কোনো ধরণের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। সংবিধান ও আইন কানুনের ভিত্তিতে আমরা কাজ করবো। এক্ষেত্রে কোনো বিশেষ দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর গুরুত্ব থাকবে না।
দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আপনি নিশ্চয় সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচনগুলোর সমস্যা সম্পর্কে অবগত। এর সমাধানে উন্নয়নে কী ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে আপনি মনে করেন? এ প্রশ্নে কেএম নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচন নিয়ে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো কীভাবে অ্যড্রেস করা যায়- সেটি কমিশন বৈঠকেই নির্ধারণ করতে হবে। কমিশনের আরো যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের সঙ্গে বসতে হবে। তাঁদের সাথে এখনও আমার যোগাযোগ হয়নি। ২/৪দিন পর এ বিষয়ে ভালো জানাতে পারবো। তবে আমার নিজের ধারণা, প্রথমে আমাদের কাজের একটা ছক তৈরি করতে হবে, কখন কোনটি করব। নির্বাচন কমিশন কোন কাজ কতটা এগিয়ে রেখেছে তা এখনও জানি না। তবে আমি মনে করি সার্বিকভাবে নির্বাচন কমিশন অনেক সমৃদ্ধ। একটা শক্ত কাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে আছে কমিশন। এ কাঠামো ব্যবহার করে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। অতীতে এই নির্বাচন কমিশনারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। ভবিষ্যতেও তা অসম্ভব কিছু না।
আপনাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে- এটি কি কখনও না ভেবেছিলেন? এ প্রশ্নে নতুন সিইসি বলেন, কখনও ভাবিনি। তবে নিয়োগ পাওয়ার কয়েক দিন আগে আমার কয়েকজন বন্ধু জানিয়েছিল তোমার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু কোন দল প্রস্তাব করেছিল তা জানায় নি। আর আমি জানতেও চাইনি।
সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়াকে কীভাবে দেখছেন- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা চ্যালেঞ্জিং জব। অবশ্য আমরা আমাদের দাযিত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করবো। সাংবিধানিক যে দায়িত্ব আমার ও নির্বাচন কমিশনের অন্য নতুন সদস্যদের উপর অর্পিত হয়েছে তার যথাযথ মর্যাদা রক্ষার চেষ্টা করবো।
মন্তব্য চালু নেই