পুলিশ সুপার ও এমপির হস্তক্ষেপ কামনা

চাটমোহর থানার এসআই’র দাপটে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ!

পাবনার চাটমোহর থানার এসআই মইনুদ্দিন ও থানার দালাল হিসেবে চিহ্নিত এক সাংবাদিকের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। গত ৩ মাসে একাধিক অপকর্মের সাথে জড়িয়ে এই ‘মানিক জোড়’ হাতিয়ে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা। তারা বিভিন্ন স্থানে দাপড়িয়ে বেড়ান লাইসেন্সবিহীন মোটর সাইকেল নিয়ে। সন্ধ্যার পর সার্বক্ষনিক থানায় অবস্থান নেওয়া ওই সাংবাদিক থানার কম্পিউটার রুমে গিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের কপি সংগ্রহ করে বাদী ও বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ কড়ি।

থানার ওসির যোগসাজসেই দীর্ঘদিন ধরে এমনটি করছে বলে অভিযোগ। কারণ কম্পিউটার রুমে কারো প্রবেশ নিষেধ। অন্য সাংবাদিকরা যেখানে থানা থেকে কোন তথ্য পাচ্ছে না, সেখানে একজন দিব্যি সব কিছু জেনে নিচ্ছে ওসির রুমে বসে থেকে। কম্পিউটার অপারেটরের রুমে অন্য কোন সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারে না। অথচ ওই রুমে একজনের অবাধ যাতায়াত। রাত ১২টার পরও কোন অপারেশন হলে ওই সাংবাদিককে তাৎক্ষনিক জনিয়ে দিচ্ছে এসআই মঈনুদ্দিন।

উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক বিক্রির সহায়তাকারী এই এসআই নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন অপরাধীদের কাছ থেকে। থানার ওসির কাছে একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ করেও ফল পায়নি ভুক্তভোগিরা। পুলিশ বলে কথা। পুলিশের ভয়ে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেউ টু’ শব্দটি করতে পারেন না। ওসিসহ ওই এসআই ও সাংবাদিকের ড্যাম কেয়ার ভাব।

চাটমোহর থানা এমনিতেই দালালদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তার উপর কথিত ওই সাংবাদিকের আস্ফালন যে কোন সময়ের চেয়ে বেড়েছে। গত শনিবার রাতেও থানার গোল ঘরে এসআই মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে বিচার হয়েছে। বিদেশ ফেরত এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে নিয়ে সংঘটিত ঘটনার শালিষ হয়েছে। ১১ লাখ টাকার হিসাব মেলাতে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচন্ড বাক বিতন্ডা ও চেঁচামেচি হয়। উৎসুক জনতার ভিড় ছিল থানা ভেতর। ওই রাতেই রেলবাজারে অবস্থান নিয়ে অর্থ কড়ির হিসাব বুঝে নেন এসআই মঈনুদ্দিন-এমন অভিযোগ উঠেছে। সন্ধ্যার পর সাধারণ কোন মানুষ অভিযোগ নিয়ে থানাতে যেতে ভয় পান।

বিশেষ মহলের সুপারিশ ছাড়া অভিযোগ পর্যন্ত নেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ। চাটমোহরে একের পর এক চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষ যখন আতংকিত ও শংকিত। তখন ওসির আস্থাভাজন এসআই মঈনুদ্দিন দিব্যি অপরাধীদের সাথে চলাচল করছেন। সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। ভুক্তভোগিরা পাবনা-৩ আসনের এমপি ও পাবনার পুলিশ সুপারের পদক্ষেপ দাবি করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই