চাটমোহরে আলোচিত তহশিলদার ইবাদুর রশিদ হেরোইনসহ আটক

পাবানর চাটমোহরে আলোচিত তহশিলদার (সাময়িক বরখাস্তকৃত) ইবাদুর রশিদ (৪৬) কে আবারো হেরোইনসহ আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে পাবনা সদরের জহিরপুর তিলাপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটকৃত ইবাদুর রশিদ চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

ডিবি পুলিশ সুত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ী ইবাদুর রশিদ এদিন বিকেলে সদর উপজেলার জহিরপুর তিলাপাড়া এলাকায় জনৈক সেলিমের কাছে হেরোইন ডেলিভারী দিতে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পাবনা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলে এলাহী ও জয়ন্ত চন্দ্র বর্মন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ইবাদুর রশিদকে আটক করে। অপর মাদক ব্যবসায়ী সেলিম পালিয়ে যায়। এ সময় ইবাদুর রশিদের কাছ থেকে ২৫ গ্রাম হেরোইন (যার মুল্য ৬২ হাজার টাকা) ও হেরোইন মাপার একটি অত্যাধুনিক নিক্তি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত: এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চাটমোহরের গুনাইগাছা এলাকা থেকে ১০ পিচ ইয়াবাসহ ইবাদুর রশিদকে আটক করেছিল পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন তাকে সুজানগরের রানীনগর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার পদ থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, অভিযুক্ত তহসিলদারকে তার পদ থেকে গত ১৫ ডিসেম্বর সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। হেরোইনসহ আটকের বিষয়ে নতুন কোন ব্যবস্থা করা হবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পরিপত্র দেখে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে পাবনার বেড়া ভুমি অফিসে চাকুরীরত থাকা অবস্থায় একটি নামজারি করতে এবাদুর রশিদ ২০ হাজার টাকা দাবী করায় হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ চাঁদ এর স্ত্রী নুরুন্নাহার তাকে স্যান্ডেল পেটা করেছিলেন। গত বছর নভেম্বর মাসে বড়াইগ্রামে অপর একটি মামলায় হাজতবাস করে জামিনে ছাড়া পান এবাদুর রশিদ। পরে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের মামলায় হাজতবাস করে সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পায় এবাদুর রশিদ।



মন্তব্য চালু নেই