চলে গেলেন লাকী আখন্দ
প্রখ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক লাকী আখন্দ মারা গেছেন। দীর্ঘদিন দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর আরমানিটোলায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাই… রাজিউন) কিংবদন্তী এ সুরস্রষ্টা। লাকী আখন্দের মেয়ে মামিন্তি ও তার স্ত্রী মরিয়ম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুণী এ শিল্পীর সংগীতায়জনে করা বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এই নীল মনিহার, আবার এলো যে সন্ধ্যা, আমায় ডেকো না, মামনিয়া, আগে যদি জানতাম, হৃদয় আমার প্রভৃতি।
জানা গেছে, বিকেলে আরমানিটোলার বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিনের বরাত দিয়ে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
বিএসএমএমইউ ভিসি জানান, লাকি আকন্দ বিএসএমএমইউতে চার দফা ভর্তি হন। সর্বশেষ গত ১০দিন আগে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজি দেয়া হয়।
১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে লাকি আখন্দের প্রথম সলো অ্যালবাম লাকি আখন্দ প্রকাশ পায়। তিনি ব্যান্ড দল হ্যাপি টাচ এর সদস্য। লাকী আখন্দের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন। ৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সঙ্গীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন।
তিনি ১৯৬৩-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশু শিল্পী হিসেবে সঙ্গীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (সংগীত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
লাকী আখন্দ অন্যান্য যেসব শিল্পীর গান রচনা ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, যেখানে সীমান্ত তোমার (কুমার বিশ্বজিৎ), কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে (সামিনা চৌধুরী), আবার এলো যে সন্ধ্যা ( হ্যাপী আখন্দ), কে বাঁশি বাজায় রে (হ্যাপী আখন্দ)প্রভৃতি।
মন্তব্য চালু নেই