চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সুজনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ১৫ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশন চত্বরে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে তা শাহ আমানত ও শাহ জালাল হলে ছড়িয়ে যায়।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ সিনহা, ইতিহাস বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম মিথিল, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শেখ আহমেদ, আন্তর্জাতিক বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
সূত্রে জানা যায়, শহর থেকে রাত সাড়ে ৮টার ট্রেনে সভাপতি অনুসারী ইকবালের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক অনুসারী তৌহিদুল ইসলাম মিথিলের কথা কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে সভাপতি অনুসারীরা চবি রেল স্টেশনে জড়ো হয়। ট্রেনটি স্টেশনে আসামাত্রই বগিতে উঠেই তৌহিদুলকে মারধর করতে থাকে তারা। এসময় ধাওয়া দিয়ে জিরো পয়েন্টে আরেক দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের খবর জড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে অবস্থান নিয়ে আবারো সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক সুজনের ১৫ জন অনুসারী আহত হয় বলে জানা যায়। পরবর্তীতে তাদের চবি মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হলে গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
এদিকে এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সভাপতি অনুসারীরা শাহ জালাল হল ও সাধারণ সম্পাদক অনুসারীরা শাহ আমানত হলের সামনে একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই হলের সামনে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডির কেউ এ মুহূর্তে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু জাগো নিউজকে বলেন, ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা। বিষয়টি সিনিয়ররা ইতোমধ্যে মীমাংসা করছেন। তবে দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এ ব্যাপারে জানতে সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনকে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য চালু নেই