চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পহেলা বৈশাখ পালন

পুরানো বছরের দুঃখ হতাশা ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বরাবরের মতো এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য উৎসবের আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ করা হয়েছে।

বাংলা নববর্ষ পালন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশন ১নং গেইট চত্ত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। সকাল ১০টায় জারুল তলায় আলোচনা সভা ও কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব ও কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ এবং বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মূল আয়োজন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারুলতলায়।বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসকেই সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মেলা কমিটির সদস্য সচিব সিরাজ উদ দৌলাহ বলেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সঙ্গীত, নৃত্য, আদিবাসী ঐতিহ্য উপস্থাপন, ফ্যাশন শো ও মূকাভিনয় । চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা, লাঠি খেলা, কাবাডি, বউচি খেলা, পুতুল নাচ ও দিনব্যাপী লোকজ মেলাও থাকছে।তাছাড়া রয়েছে ব্যন্ডদল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সাজ সাজ রবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। চারুকলা ও অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করছে রং-বেরং এর মুখোশ, বাঁশি, প্লেকার্ড, বাঘ, হাতি, মাছ, ফেস্টুন।শাটল ট্রেনকে সাজানো হয় বর্ণিল রুপে,মনোরম কারুকার্য ও আলপনা শোভা পাচ্ছে শাটলের “সিক্সটি নাইন,বিজয়,কনকরড,একাকার,উল্কা,এপিটাফ ইত্যাদি বগিগুলোতে।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পহেলা বৈশাখের আগে থেকেই ক্যাম্পাসে বেড়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসহ নিরাপত্তা বাহিনীর আনাগোনা। অনুষ্ঠানে যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।



মন্তব্য চালু নেই