চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকা পড়ে আছে প্রায় তিন হাজার কনটেইনার

চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে পচনশীল ও অপচনশীল মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যভর্তি প্রায় তিন হাজার কনটেইনার। যা শুল্ক কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা চিঠি দিয়েও খালাস করতে পারছে না শিপিং এজেন্সি। এতে মেইন লাইন অপারেটরদের চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় শিপিং এজেন্টদের। আবার এজেন্সি বাতিলের আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে বর্তমানে ধ্বংস ও নিলামের অপেক্ষায় পড়ে আছে ২ হাজার ৮০০ টিইইউএস কনটেইনার। এর মধ্যে ফলমূল, খেজুর, ডাল ও সরিষার মতো পচনশীল পণ্যভর্তি কনটেইনার রয়েছে ৪০০। বাকি কনটেইনারগুলোয় রয়েছে অপচনশীল মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য।

এদিকে নিয়মানুযায়ী কোনো কনটেইনার বন্দরে পৌঁছার ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস করতে হয়। কিন্তু দুই দশকেও পণ্য খালাসের উদ্যোগ নেননি আমদানিকারকদের কেউ কেউ। এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব আটকা পড়ে আছে, অন্যদিকে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, পড়ে থাকা কনটেইনার খালাসে গতি আনতে ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ সভা করে শুল্ক কর্তৃপক্ষ। তিনটি স্তরে তিন মাসের মধ্যে কনটেইনার খালাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। তার পরও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।

এছাড়া গত ডিসেম্বরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি পাঠায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাতে বন্দরে কনটেইনার জট কমাতে ও হ্যান্ডলিং কাজ স্বাভাবিক রাখতে জমে থাকা কনটেইনারগুলো দ্রুত সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়। আমদানি পণ্যের পরিমাণ জানাতে গিয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্দরে ১৫ হাজার ৮৭৫ টন আমদানি পণ্য খালাসের অভাবে পড়ে আছে।

উল্লেখ্য, কনটেইনার আটকে থাকায় গত মাসে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে আসে সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি মেইন লাইন অপারেটরের প্রতিনিধি দল। সিঙ্গাপুরে ফিরে গিয়ে তারা কী ব্যবস্থা নেন, তা নিয়ে চিন্তিত দেশী শিপিং এজেন্টরা।



মন্তব্য চালু নেই