ধর্মঘটের কারণে

চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা

ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের ধর্মঘটের প্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাতে একাডেমিক কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শুক্রবার দুপুর ১টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ছাত্রী হোস্টেলে অবস্থানরত ছেলে শিক্ষার্থীদের ভবন থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে বৃষ্টির পানি ওঠার অজুহাতে ছাত্রী হোস্টেলের পাশে একটি পরিত্যক্ত ভবনে ছাত্ররা স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। এতে করে ছাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তার সমস্যা দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীরা উভয় পক্ষ একাধিক বার বৈঠকে বসলেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি।

চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘তিনবছর আগে পুরাতন একাডেমিক ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। নগরীতে পানি ওঠায় অস্থায়ীভাবে শিক্ষার্থীদের থাকতে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা এখন পরিত্যক্ত ভবনটি ছাড়তে রাজি হচ্ছে না। কোনো দুর্ঘটনা হলে এর দায়ভার কে নেবে? তাছাড়া পাশেই ছাত্রী হল। রাতে কোনো নাইট গার্ড থাকে না। কোনো সীমানা প্রাচীরও নেই। এ অবস্থায় পরিত্যক্ত ভবনে কোনোভাবেই ছাত্রদের থাকতে দেয়া যায় না।’
তিনি বলেন, ‘পরিত্যক্ত ভবনে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের ভবন থেকে চলে যেতে বলা হলে তাদের ইন্ধনে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস করছে না। তাই কলেজ বন্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ছাত্র হোটেল বাস্তবায়ন, ছাত্রী আবাসন সঙ্কট নিরসন, দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ, অধ্যক্ষের অপসারণসহ ছয়দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থান ধর্মঘট, ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বর্জন করে তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তিনবছর ধরে কর্তৃপক্ষ মৌখিক আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত স্থায়ী বা অস্থায়ী হোস্টেল নির্মাণের জন্য কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। ছাত্রীদের হোস্টেলে প্রতিটি কক্ষে দুজনের রুমে ছয়জন থাকতে হয়।
আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে গতকাল শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই