চট্টগ্রামে ৬ ধর্ষকের ডবল যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে এক পোশাককর্মীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় ছয় ধর্ষককে দু’বার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানার টাকা ৬ মাসের মধ্যে জেলা কালেক্টরকে আদায় করে তা ভিকটিমকে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রেজাউল করিম এ রায় দেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন- নেজাম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, জাহাঙ্গীর প্রকাশ জানে আলম, জানে আলম, মো. সুমন এবং জাহাঙ্গীর। এদের মধ্যে নেজাম উদ্দিন ও কামাল উদ্দিন ছাড়া বাকি সবাই পলাতক।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি পিপি জেসমিনা আক্তার জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ও ৯ (১) এবং ৯ (৩) ধারায় আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালত প্রত্যেককে দু’বার করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একটি সাজা ভোগ শেষে আরেকটির মেয়াদ শুরু হবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গণধর্ষণের শিকার আনুমানিক ২২ বছর বয়সী ওই নারী পোশাককর্মী চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কালুরঘাট এলাকায় রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন। ২০০৬ সালের ১৫ মে রাত সাড়ে ৯টায় কারখানা ছুটি শেষে হেঁটে পশ্চিম গোমদণ্ডি এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে আরাকান সড়কের মাদ্রাসার কাছে পৌঁছলে টেম্পুযোগে দণ্ডিত আসামিরা এসে তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর তাকে নির্জন একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে ৬ জন মিলে গণধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ২০০৬ সালের ১৬ মে বোয়ালখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা তরুণীর চাচাত বোন। ২০০৭ সালের ১৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০০৭ সালের ২৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।
মন্তব্য চালু নেই