চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ-গুলি

চট্টগ্রাম নগরের হাজি মুহাম্মদ মহসিন সরকারি কলেজ ও ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এতে বেশ কয়েক জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।

পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনার সময় দুই-তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা দাবি করেছেন। হাজি মহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে বের হয়ে ওমরগণি এমইএস কলেজ শাখার ছাত্রলীগ কর্মীরা বিপরীত পাশে অবস্থিত চট্টগ্রাম কলেজের পুলিশ ক্যানটিন ভাঙচুর করেন।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজ আহমেদ বলেন, ওমরগণি এমইএস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা মহসিন কলেজ শাখার এক কর্মীকে মারধর করেন। এতে মহসিন কলেজের ছাত্রলীগ কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে এমইএস কলেজ শাখার কর্মীদের ধাওয়া করেন।

পরে তাঁরা চট্টগ্রাম কলেজে ঢুকে পুলিশ ক্যানটিন ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গুলি ছোড়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শাখার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ হামিদ। তিনি বলেন, ‘ওমরগণি এমইএস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ছয়-সাতজন কর্মী তিনটি মোটরসাইকেলে করে আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে।

এরপর অতর্কিতভাবে তাদের কয়েকজন রড দিয়ে আমার মাথা, মুখসহ শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। চিকিৎসার জন্য এখন একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছি।’

হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আরেক কর্মী ফয়সাল মাহমুদ অভিযোগ করেন, ওমরগণি এমইএস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা অনেক দিন ধরে মহসিন কলেজে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন।

কিন্তু কলেজের ছাত্রলীগ কর্মীদের বাধার কারণে তা পারছেন না। এর জের ধরে তাঁরা আজ দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে এক ছাত্রকে অহেতুক মারধর করেন। তবে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে তাঁদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় দুই-তিনটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন তাঁরা।



মন্তব্য চালু নেই