চট্টগ্রামে কিশোরী ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত শাহ আলমসহ জড়িতদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষিতার মা কর্তৃক রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করতে গেলে তা গ্রহণে অস্বীকার করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

এ ছাড়া ধর্ষণে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়েও রুল জারি করা হয়েছে।

জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫ জুন রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজিপি, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের মিনাগাজীর টিলা এলাকায় ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় সমাজপতি শাহ আলমের (৬২) বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে পুলিশ শাহ আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মধ্যরাতে পাল্টে যায় ঘটনা। পুলিশ মূল অভিযুক্ত শাহ আলমকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়। পরদিন ১০ মে ধর্ষিত কিশোরীর বড় ভাই সফুর আহাম্মদ (১৪) এবং ধর্ষিত শিশুটিকে আটক করে নিয়ে যায় শিলক তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ। এরপর সেখানে সফুর আহাম্মদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে নিজ ছোটবোনের ধর্ষক হিসেবে স্বীকারোক্তি আদায় করে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।

ভাইকে বোনের ধর্ষক সাজানোর নেপথ্যে থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ের একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি, অন্তত দুজন সংবাদকর্মী সম্পৃক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার পেছনে বড় অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা না নিয়ে কৌশলে ধর্ষিতার মাকে বাদী করে নিজপুত্রের বিরুদ্ধে মামলা দিতে বাধ্য করেন।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও সর্বপ্রথম প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে রাইজিংবিডিতে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হয়।



মন্তব্য চালু নেই