চটেছেন শোয়েব আখতার, গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পদক্ষেপ নিয়ে চটেছেন দেশটির সাবেক তারকা বোলার শোয়েব আখতার। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দ্বিতীয় আসরে শারজিল খান ও খালিদ লতিফের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পদক্ষেপে পিসিবির নানা গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সাবেক এই পেসার।

পিএসএলের প্রথম ম্যাচেই স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন শারজিল খান ও খালিদ লতিফ। নিষিদ্ধ এই দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সাথে সাথে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়। পিসিবির এই সিদ্ধান্তেই চটেছেন ‘রাওলপিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত শোয়েব আখতার।

তারকা এই পেসার মনে করেন, পিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজম পুরো কেলেঙ্কারি নিয়ে সাংঘাতিক কিছু ভুল করছেন। যদি এই দুই পাকিস্তানি নির্দোষ প্রমানিত হয় তবে পিসিবি লজ্জার মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন শোয়েব।

পাকিস্তানি এক সংবাদমাধ্যমকে শোয়েব বলেন, ‘আমি সঠিক জানি না শারজিল এবং খালিদ সত্যই দোষী কি না। তবে পিসিবির কাছে যদি অভিযোগপত্র থেকে থাকে এবং তারা যদি কাউকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় বোর্ড একটু বেশিই কঠোর হয়েছে এবং তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে বড় ভুল করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা বিষয় আমি বুঝতে পারছি না, যদি বোর্ডের কাছে শক্ত প্রমাণ থেকে থাকে আর তার ভিত্তিতেই যদি ওদেরকে শাস্তি দেয়া হয়, তাহলে শারজিল এবং খালিদ কেনো তাদের অপরাধ স্বীকার করে নিচ্ছে না। বরং তারা আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

যেকোনো স্পট ফিক্সিং কোর্টের কাছে প্রমান করার খুবই কঠিন বলে মন্তব্য করেন এই গতি তারকা। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ প্রমান করার দায়িত্ব এখন বোর্ডের উপর। বোর্ড যদি তাদের অপরাধা প্রমান করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে পিসিবিকে লজ্জার মুখে পড়তে হবে।’

স্পট ফিক্সিংয়ের এই মামলা কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে দূর্গতিই আছে পিসিবির। ফাঁস হয়ে যেতে পারে পিসিবির অনেক অজানা তথ্য। এমনটাই শঙ্কা করছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘যদি এই ঘটনা কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় তবে পিসিবির অনেক অজানা তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। পুরনো অনেক কথা ও দুর্ঘটনা বেরিয়ে আসবে, যা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে না।’

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘জাবেদ মিয়াদাদ সম্প্রতি টেলিভিশনে শহীদ আফ্রিদির ব্যাপারে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন, তখন আমি গিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করি। যদি তারা এগুলো নিয়ে কোর্টের শরণাপন্ন হন তাহলে অনেক পুরনো ঘটনা বেড়িয়ে আসবে, যেগুলো ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত।’



মন্তব্য চালু নেই