অসহ্য গরমেও আপনার ঘর যেভাবে ঠান্ডা রাখবেন

ছয়টি ভাগে বাংলাদেশের ঋতু বিভক্ত হলেও শীত আর গ্রীষ্মই বেশি অনুভূত হয়। শীতশেষে বসন্তের আগমন এখন সুষ্পষ্ট বার্তা শুনাচ্ছে গরমের। গ্রামে এখনো শীতের স্বস্তি টিকে থাকলেও শহরে শুরু হয়েছে গরমের কষ্ট। বিশেষ করে ঢাকা শহরে গরমের কষ্ট অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক বেশি। ভ্যাপসা গরমে সারাদিন ফ্যান চালালেও কষ্টের মুক্তি মেলা দায়। শেষ ভরসা হিসেবে অনেকে বেছে নেয় এসি। তাই শিখে নিতে পারেন, এসি ছাড়াও অসহ্য গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার জাদুকরী উপায়।

* ঘর ঠাণ্ডা রাখার জন্যে প্রথম কাজ হিসেবে দুপুরের সূর্যের প্রখর তাপ ঘরে ঢুকতে দেয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে দক্ষিন ও পশ্চিম পাশের জানালা বা যে জানালা দিয়ে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে সেগুলোতে পর্দা টেনে রাখুন। প্রয়োজনে জানালা বন্ধ রাখতে পারেন। রাতের বেলা অবশ্যই জানালা খুলে দিতে হবে, যাতে বাইরের ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে প্রবেশ করতে পারে।

* রাতের বেলা দ্বিগুন বাতাস পেতে টেবিল বা পোর্টেবল ফ্যানটি জানালার কাছে নিয়ে চালিয়ে দিন। এটি বাইরের ঠাণ্ডা হাওয়া ভেতরে নিয়ে আসবে। ঘরের অসহনীয় গরম টেনে বের করে দেবে।

* বাতাস খুব বেশি ঠাণ্ডা পেতে টেবিল ফ্যানের সামনে গামলা ভর্তি বরফ অথবা ফ্রিজের পানি রেখে ফ্যান চালিয়ে দিতে পারেন। এতে যখনই ফ্যান চালাবেন বাতাসের সঙ্গে বরফের ঠাণ্ডা হাওয়া যুক্ত হয়ে এসির মতই কাজ করবে।

ঘর২* অনেককে কারণ ছাড়াই টেলিভিশন, ফ্যান, বাতি, কম্পিউটার ইত্যাদি অন করে রাখেন। এর ফলে ঘরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে গিয়ে অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া তৈরি করে। তাই বিনা প্রয়োজনে এসব জিনিস বন্ধ করে রাখা উচিৎ।

* রান্নাবান্নার কাজ ছাড়া গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখতে হবে। অনেকে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখে। এর ফলেও ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

* জানালার কাঁচের মধ্য দিয়ে সূর্যের তাপ শোষিত হয়ে ঘরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে তোলে অনেকখানি। এসব ক্ষেত্রে যেসব জানালা সরাসরি সূর্যের আলোতে পড়ে সেসব জানালায় হিট প্রটেক্টিং উইন্ডো ফিল্ম লাগাতে পারেন। এতে করে জানালার ভেতর দিয়ে সূর্যের তাপ শোষণ ৬০% পর্যন্ত কমে যাবে এবং ঘরও ঠাণ্ডা থাকবে।

* সম্ভব হলে বাড়ির পূর্ব ও পশ্চিম পাশে বেশি করে গাছ লাগান। বাসার আশেপাশে গাছ থাকলে সরাসরি সূর্যের আলো পড়ে না যার ফলে ঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা থাকে।

* স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া ঘর আরও বেশি গরম করে তোলে। তাই গোসল বা কাপড় চোপড় ধোয়ার কাজটি একদম সকালে না হলে বিকেলের দিকে করা ভালো। কারণ দুপুরের দিকে এই কাজ গুলো করলে ঘরের পরিবেশ আরও আর্দ্র বা স্যাঁতসেঁতে করে ফেলে।



মন্তব্য চালু নেই