ঘরে অন্তত ১টি পোষা প্রাণী রাখুন, আর তাতেই বদলে যাবেন আপনি

ঘরে বিড়াল পুষবার ইচ্ছা অনেকেরই থাকে। অথবা একটা ছোট্ট কুকুরছানা। অনেকে আবার খরগোশ ও ভালোবাসেন। এসব প্রানীদের লালন-পালনের ভার কিন্তু পরিবারের সবার উপরই পড়ে।

তাই অনেকে পরিবারেই বাবা-মা পোষা প্রাণীদের ঘরে আনতে চান না।

যদিও এর পেছনের তাদের যথাযোগ্য কারণ আছে অনেকগুলো। এমন প্রাণী পালনে ঘর ময়লা হয়, সময় নষ্ট হয় বাচ্চারা সারাদিন সেটা নিয়েই মেতে থাকবে।

এছাড়াও বিভিন্ন অসুখ হতে পারে। এসব প্রাণীরা একবার মানিয়ে গেলে সাড়া ঘরকন্না ঘুরে বেড়াবে। এটা ওটায় মুখ দেবে আরো অনেক রকম কারণেই বিড়াল কুকুর ঘরে অনেকেই পালতে চায় না।

কিন্তু আপনাকে অবাক করে দিয়ে একটা নতুন তথ্য হাজির হয়েছে। তা হলো ঘরে একটি পোষা প্রাণী থাকা পরিবারের সকলের জন্য ভালো।

আসুন জেনে নিন ঘরে পোষা প্রাণী থাকার ভালো দিকগুলো কি কি –

১। বিষন্নতায় ভোগার সমস্যা থেকে পোষা প্রাণী মুক্তি দিতে দারুণ সোচ্চার। আপনার যদি মন খারাপ, দুশ্চিন্তা কিংবা বিষণ্ণতায় ভোগার সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ঘরে একটি পোষা প্রাণী রাখুন, তাঁর লালন-পালন করুন।

কারণ এসব প্রাণী, যেমন – কুকুর, বিড়াল, মাছ, খরগোশ, পাখি এধরনের প্রাণী গুলো বিষন্নতা কমিয়ে মনকে ফুরফুরে করে দিতে পারে। বিশেষ করে খরগোশ, কুকুর ও বিড়াল এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী।

২। কেউ যদি আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে থাকে তাহলে তাকে উপহার দিন খুব আদুরে একটি বিড়াল, কুকুর অথবা খরগোশ। মানুষ যেমন মৃত্যুর আগে সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে, ঠিক একই ভাবে আদরের পোষা প্রাণীটির কথা চিন্তা করলেও মানুষের বেঁচে থাকার ইচ্ছে বেড়ে যায়।

৩। গবেষণা অনুযায়ী যাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য পোষা প্রাণী পালন উপকারি প্রমাণিত হবে। কিছুক্ষন পোষা কুকুর, বিড়ালের সাথে খেলাধুলা করলে কিংবা মাছের একুরিয়ামের দিকে তাকিয়ে থাকলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং মানসিক চাপ কমে যায়।

৪। যারা পোষা বিড়াল বা কুকুর আছে, অন্যদের তুলনায় তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪০% কম এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা ৩০% কম এমনটাই জরিপে দেখা যায়।

৫। পোষা প্রাণীর সাথে খেলাধুলা ও ছোটাছুটি ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে এবং ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।



মন্তব্য চালু নেই