গোপন অঙ্গে ক্যামেরা থাকলে প্রেমেরও সাক্ষ্য থাকবে, বন্ধুদের পরামর্শ কঙ্গনা রানাউতকে

দিল্লির একটি ইভেন্টে এসে এমন কতগুলো কথা বললেন কঙ্গনা রানাউত, যাতে তাঁর ‘বোল্ড’ ইমেজটা আরও জোরদার হয়ে উঠল! ইভেন্টটি এক নামী স্পোর্টসওয়্যার ব্র্যান্ডের। যার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন কঙ্গনা। ব্র্যান্ড থেকে নতুন একটি উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে, যার নাম— ‘ফিট টু ফাইট’। নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার ঘটানোই যার উদ্দেশ্য।

সেই ইভেন্টেই কঙ্গনা বিস্ফোরক এমন এক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, যে মিডিয়া থেকে ভক্ত— আক্কেল গুড়ুম সক্কলের! কঙ্গনা বলেছেন, ‘‘বন্ধুরা আমাকে মাঝে মাঝেই ইয়ার্কি মেরে বলে থাকে, ভ্যাজাইনাল ক্যামেরা ব্যবহার করতে। যাতে কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ঘটলে তার একটা রেকর্ড থাকে!’’ কেন এই ইয়ার্কি তাঁর বন্ধুরা করে থাকেন, সেটা আর খোলসা করেননি কঙ্গনা। কিন্তু খুব সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, কোন পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে এই কথা! হৃতিক রোশনের সঙ্গে কঙ্গনার সম্পর্ক নিয়ে যে বড়সড় ‘স্ক্যান্ডাল’ গোটা বছর জুড়ে চলেছে, তার আইনি মীমাংসা হলেও কঙ্গনা স্বভাবতই ব্যাপারটা থেকে বেরোতে পারেননি এখনও। অভিনেত্রীর সঙ্গে কোনও রকম ঘনিষ্ঠতার প্রশ্নে হৃতিক সমানে অস্বীকারের প্রতিক্রিয়াই দিয়ে গিয়েছেন। আর সেটা যে কঙ্গনার ক্ষোভের একটা বড়সড় কারণ, সেটা বুঝতে কারওরই বাকি নেই! সেই কারণেই সাক্ষ্যপ্রমাণের প্রসঙ্গ তুলেছেন যে, স্পষ্ট সেটাও।

তবে ইভেন্ট যেহেতু নারীর ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত, তাই নিজের সাফল্যের উদাহরণও বিশদে দিয়েছেন কঙ্গনা। এবং সফল নারী হয়েও যে বৈষম্যের শিকার হন, সে কথাও খোলাখুলি জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘সফল হওয়ার পরেও দেখতে পেয়েছি, পুরুষদের আচরণে কোনও তফাত হয়নি। তাঁরা মহিলা বলে এখনও সমানভাবে আমাকে খাটো করে যান। অনেকে এ-ও বলেন, মহিলারা কর্মক্ষেত্রে সফল হলে তাঁদের জীবনের অন্যান্য দিক অন্ধকারে ভরে যায়। কিন্তু এটা বদলাতে চাই। সব হাতের মুঠোয় এনে এই ধারণাগুলো ভেঙে দিতে চাই আমি।’’
প্রেম নিয়েও সরব তিনি। তাঁর বক্তব্য, গোটা পৃথিবীর কাছে তাঁর নিজেকে ত্যাগস্বীকার করা মহান নারী হিসেবে প্রমাণ করার দায় নেই। তিনি প্রেম চান। কারণ প্রেম তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। কঙ্গনার মন্তব্য, ‘‘আর সেই প্রেমকেই যখন লোকে বলে বছরের সেরা কেচ্ছা, সেটা বড্ড আঘাত করে! কারণ আমি তো জানি, আমি কী।’’ বলাই বাহুল্য, তাঁর এই উক্তিও ‘কাবিল’ নায়কের উদ্দেশেই! এবার তিনি এই কথাগুলোর জন্যেও কঙ্গনাকে উকিলের চিঠি পাঠান কি না, সেটাই দেখার!



মন্তব্য চালু নেই