গোপণ ভিডিওতে তোপের মুখে বিজেপি

গোপন ভিডিওতে সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। গোপন ধারণকৃত এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর সমালোচনা করেছেন ওই দলটিরই মুম্বাই রাজ্যসভার এক সদস্য (এমএলএ)। গোপন ধারণকৃত ভিডিওটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার রসদ হয়েছে।
গোপনে ধারণকৃত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, মুম্বাইয়ের কোলাবা অঞ্চলের বিজেপির এমএলএ রাজ পুরোহিত এক অজ্ঞাত প্রশ্নকারীর সঙ্গে একমত হন যে, মোদি আর শাহ ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে (তবে দেশের না দলের এই বিষয়টি বোঝা যায়নি)। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির মধ্যে কোনো গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, ‘সবাই সমষ্টিগত নেতৃত্বের কথা বললেও এখানে এটি অনুপস্থিত। দলের জন্য এটি অশুভ ইঙ্গিত।’
ভিডিওচিত্রে পুরোহিত সমালোচনা করেন, দেশের অর্থনীতির অর্ধেকই নিয়ন্ত্রিত হয় কালো টাকায়। মোদি ও শাহর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভুলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত মোদির। তাঁর কিছু সিদ্ধান্ত বিজেপির ঘোর সমর্থক ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করছে। তারা কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের ওপর বীতশ্রদ্ধ, তাই বিজেপির কাছ থেকে অনেক আশা করে।
ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, রাজ পুরোহিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীসহ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার সমালোচনা করেন। অর্থের কাছে দলের অনেকে বিক্রি হয়ে যায় বলেও দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্র নাভনিরাম সেনা (এমএনএস) দলের প্রতিষ্ঠাতা রাজ থ্যাকারেকে ‘বোগাস’ বলে অভিহিত করেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে ভিডিওচিত্রের প্রসঙ্গে পুরোহিত বলেন, সেখানে গলার স্বরটি তাঁর নয়। মুম্বাইয়ের মুখ্যমন্ত্রী ভিডিওচিত্রে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। মুম্বাই রাজ্যের অপর নেতা বলেন, পুরোহিতের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার একটি ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয়। সে ‘ভিত্তিহীন গপ্পো’ ছাড়া কিছুই নয়। আর এমএনএস দলের কর্মীরা গত শুক্রবার পুরোহিতের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।
বিজেপির মুখপাত্র মাধব ভাণ্ডারি বলেন, ভিডিওচিত্রটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে পুরোহিতের বিরুদ্ধে দল সিদ্ধান্ত নেবে।
রাজ পুরোহিত ১৯৯৫-৯৯ সালে শিব সেনা-বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
https://youtu.be/6oh69mXmexY




























মন্তব্য চালু নেই