গুলিস্তানে ফের উচ্ছেদ অভিযান
নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেসব হকার রাজধানীর গুলিস্তান ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসেছিলেন তাদের আবারও উচ্ছেদ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মঙ্গলবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এদিকে ডিএসসিসির উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন হকাররা।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন সরদার। এ সময় ডিএসসিসির কর্মকর্তারা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন সরদার বলেন, ‘ডিএসসিসির নির্দেশনা উপেক্ষা করে গুলিস্তানসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ফুটপাতে যেসব হকার দোকান নিয়ে বসেছিলেন তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
গুলিস্তান ঘুরে দেখা যায়, মঙ্গলবার সকালে হকাররা ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিএসসিসি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় হকাররা সরে গেলে তাদের রেখে যাওয়া চৌকি, বাক্সসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
এদিকে গুলিস্তানে উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন হকাররা। তারা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবি জানান।
গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান শুভ বলেন, ‘ছয় বছর ধরে আমরা এ জায়গায় ব্যবসা করছি। পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ চলবে না। নির্দেশনা যতই দেওয়া হোক আমরা এখানে বসব। কারণ আমাদের সংসার আছে, বাচ্চাদের পড়াতে হয়। ফুটপাতে যা আয় হয় তা দিয়ে পাঁচজনের সংসার চলে।
তিনি জানান, মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ফুটপাতে বসেছি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১০০ টাকা বিক্রি করতে পারি নাই। বিক্রি করতে না পারলে কীভাবে চলবে সংসার?
হকারদের পুনর্বাসনের বিষয় নিয়ে গত ১১ জানুয়ারি নগর ভবনের সভাকক্ষে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও হকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১৫ জানুয়ারি থেকে কর্মদিবসে গুলিস্তান, মতিঝিল ও এর আশপাশ এলাকার ফুটপাতে দিনের বেলা কোনো হকার বসতে পারবে না। তবে অফিস টাইমের পর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট থেকে তারা গুলিস্তান-মতিঝিল এলাকায় বসতে পারবে।
মন্তব্য চালু নেই