গুলশান হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ রাজীব গান্ধী গ্রেপ্তার
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আরেক ‘মাস্টার মাইন্ড’ জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে। তিনি জঙ্গিদের কাছে রাজীব গান্ধী, সুভাষ গান্ধী প্রভৃতি বিভিন্ন নামে পরিচিত। পুলিশের ভাষ্য, তিনি গুলশান হামলার অন্যতম ‘মাস্টার মাইন্ড’।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ট ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা। ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার ইউসুফ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে সব কিছু জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইউনিটের কর্মকর্তারা।
জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাষ গান্ধী নব্য জেএমবির উত্তরবঙ্গের কমান্ডার ছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলায় তিনি লোকবল জোগান দিয়েছিলেন পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।
গত ১ জুলাই গুলশানের অভিজাত রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশি, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পাঁচ হামলাকারীসহ ছয় জনকে হত্যা করা হয়। উদ্ধার করা হয় ১৪ জিম্মিকে।
এই ঘটনায় পুলিশের তদন্তে জানা যায়, পাঁচ হামলাকারীসহ বেশ কয়েকজন এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন। এই হামলার দুই মাসের মধ্যেই প্রধান হোতা হিসেবে চিহ্নিত তামিম চৌধুরী গত ২৮ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় পুলিশের অভিযানে নিহত হন।
১০ সেপ্টেম্বর নিহত হন হামলাকারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের একটি বাড়িতে তাকে গ্রেপ্তার অভিযানে গেলে তিনি দুই পুলিশকে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে পাল্টা গুলিতে নিহত হন জাহিদুল।
গুলশান হামলার অন্যতম নাটের গুরু হিসেবে চিহ্নিত নুরুল ইসলাম মারজানও পুলিশের অভিযানে নিহত হয়েছেন গত ৫ জানুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে গোলাগুলিতে তিনি এক সঙ্গীসহ নিহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
মন্তব্য চালু নেই