গুণে ভরা দুটি ফল তাল ও চালতা

তাল একটি সুস্বাদু ফল। সুস্বাদু এই তালের ফল ও বীজ দুটোইই খাওয়া হয়। তালের ঘন নির্যাস দিয়ে পিঠা তৈরি করা হয়। তালের বীজ তালশাঁস নামে পরিচিত। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সহ আরো অনেক খনিজ উপাদান। এর সাথে আরো আছে অ্যান্টি অক্সিজেন ও এ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। তবে তাল কেনার সময় নরম তাল কেনা উচিৎ। কারণ বেশি পাকা তাল হজম করতে সমস্যা হয়। তালে রয়েছে অনেক উপকারিতা।

পেটের জ্বালাপোড়া দূর করতে সবচেয়ে উপকারী কার্যকরী প্রতিকার হচ্ছে তালের রস। গরমে হাইট্রেড থাকতে ভালো কাজ করে তাল। এসিডিটির সমস্যা দূর করতে তালের রস খুবই উপকারী। ত্বকের যত্নেও তালের ব্যবহার ও অনেক। গরমে ঘামাচি থেকে মুক্তি পেতে তাল অনেক ভালো কাজ করে।

তালের উপরের পাতলা স্তরটি সরিয়ে নিয়ে তালের শাসের ভেতরের রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে শীতল অনূভূতি পাবেন এবং ঘামাচির চুলকানি দূর হবে। অত্যাধিক তাপে ত্বকের যে লালভাব হয় তা নিরাময়ের কাজ করব তালের রস। তালের ফেস প্যাক ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এছাড়া ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে তাল। যারা রোগা পাতলা হতে ডায়েট করছেন এটি তাদের জন্য খুবই উপকারী।

শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কদের উভয়েরই অপুষ্টি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ক্রিমিরোগ, লিভারের টনিক হিসেবে এটি বেশ উপকারী। এর পাশাপাশি আরেকটি মুখোরোচক ফল হচ্ছে চালতা।

চালতার আচার নাম শুনলেই জিহ্বায় জল চলে আসে। এই ফলটিতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিয়ামিন বি, সি, থায়ামিন ও রিবফ্লাবিন। এজন্য চালতা যেমন রোগ প্রতিরোধ করে তেমনি পুষ্টি পূরণেও ভূমিকা রাখে।

চালতা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ঠান্ডা, জ্বরে পাকা চালতার রস খবই উপকারী। গলাব্যথা, বুকে কফ জমা, সর্দি প্রতিরোধে চালতায় আছে এক অনন্য গুণ। নিয়মিত চালতা খেলে কিডনি ভালো থাকে। সব মিলিয়ে চালতা এক গুণে ভরা ফল। তাই মৌসুমের সময় আমাদের সবারই এই ফলগুলো খাওয়া উচিৎ।



মন্তব্য চালু নেই