গুজরাটকে ১০ উইকেটে হারাল কেকেআর

ঘরের মাঠে ১৮৩ রান করার পর গুজরাট লায়ন্সের সমর্থকরা জয়ের হিসাব-নিকাশই শুরু করে দিয়েছিল; কিন্তু কে জানতো, সুরেশ রায়নার চেয়েও দুরন্ত ব্যাটিং অপেক্ষা করছে কেকেআরের পক্ষ থেকে।

রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৮৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কেকেআর অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর আর ক্রিস লিন মিলে যা করলেন, তা রীতিমত ইতিহাস। ১৪.৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেলো কলকাতা নাইট রাইডার্স।

শুধু আইপিএল নয়, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই এত বড় স্কোর তাড়া করতে নেমে ১০ উইকেটে জয়ের কোনো রেকর্ড নেই। যেটা স্থাপন করলো শাহরুখ খানের দল।

১৮৩ রান অবশ্যই অনেক বড় চ্যালেঞ্জের; কিন্তু এবারের আইপিএলের শুরু থেকে যেভাবে রানের বন্যা দেখা যাচ্ছে, তাতে এই রানকে মনে হচ্ছিল মামুলি। তবুও কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বীতার আশা তো ছিলই; কিন্তু গম্ভীর আর ক্রিস লিন মিলে যে এটাকে সত্যিই মামুলি বানিয়ে ছাড়বেন তা কে ভাবতে পেরেছিল!

জয়ের জন্য ১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারই থেকে গেলেন অপরাজিত। গুজরাট লায়ন্সের বোলাররা ভাঙনই ধরাতে পারেননি এই জুটিতে। ফলে ৩১ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে সাকিব আল হাসানের দল (যদিও সাকিব এই ম্যাচে খেলেননি)।

ক্রিস লিন অপরাজিত ছিলেন ৯৩ রানে। বল খেলেছেন ৪১টি। বাউন্ডারি মেরেছেন ৬টি এবং ছক্কা মেরেছেন ৮টি। অপর ওপেনার গৌতম গম্ভীর অপরাজিত ছিলেন ৪৮ বলে ৭৬ রানে। কোনো ছক্কার মার নেই। তবে বাউন্ডারি মেরেছেন ১২টি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক সুরেশ রায়নার অপরাজিত ৬৮ রানের ওপর ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে গুজরাট লায়ন্স। যদিও দু’বার ক্যাচ তুলে বেঁচে গিয়েছিলেন রায়না। তার ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি। কোনো ছক্কা ছিল না।

২৫ বলে ৪৭ রান করেন দিনেশ কার্তিক। ২৪ বলে ৩৫ রান করেন ওপেনার বেন্ডন ম্যাককালাম।



মন্তব্য চালু নেই