গিনেজ বুকে যে রেকর্ড শুধু বাংলাদেশের!
বিশ্বরেকর্ড করার জন্য বিভিন্ন দেশের মানুষ বিভিন্ন সময় চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের এমন কিছু রেকর্ড রয়েছে যা কোন চেষ্টা ছাড়াই গিনেস বুকে জায়গা পেয়েছে। এমন সকল রেকর্ডের কথা নিম্নে আলোচনা করা হল-
১. ক্রিকেট:
সবচেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে হারের রেকর্ড বাংলাদেশের। ২০০০ সালের ২ই জুন পাকিস্তানের নিকট ২৩৩ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। ৩২০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মাত্র ৮৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। যা ইতিহাসের পাতায় বৃহত্তম বিজয় হিসেবে লিখিত।
২. গুরুতর শিলাবৃষ্টি:
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ওজনের শিলা পড়েছে বলে এখনও রেকর্ডের খাতায় লিপিবদ্ধ। ২.২ পাউন্ডের শিলা পড়ে শিলাবৃষ্টিতে গোপালগঞ্জে ৯২ জন নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।
৩. সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ:
গিনেজ বইতে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবেও বাংলাদেশের নাম সবার উপরে। বাংলাদেশের প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮৬১ জন মানুষের বসবাস।
৪. বৃহত্তম ব-দ্বীপ:
বিশ্বের সর্ববৃহৎ বদ্বীপ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ভারতের গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। এটা ৭৫,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
৫. হতাহতের শিরোনামে অনেক রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের দখলে।
যেমন-
# ১৯৬০ সালের ১০ই অক্টোবর জলোচ্ছ্বাসে ৬,০০০ মানুষের মৃত্যু।
# আবার, ১৯৬০ সালের ১৩ই অক্টোবর জলোচ্ছ্বাসে ৪,০০০ মানুষের মৃত্যু।
# ১৯৭০ সালের ১৩ই নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
# ১৯৭৪ সালের ১ই মে জাহাজ ডুবিতে একসাথে ২৫০ মানুষের মৃত্যু হয়।
# ১৯৭৪ সালের ১২ই আগস্ট জলোচ্ছ্বাসে ২,৫০০ মানুষের মৃত্যু।
# ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার, আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যু।
# ১৯৮৫ সালের ২৫শে মে ঘূর্ণিঝড়ে ১০,০০০ মানুষের মৃত্যু।
# ১৯৬০ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বন্যায় ১০০০ মানুষের মৃত্যু।
# ১৯৮৯ সালের ১৫ই জানুয়ারী ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১০ জনের অতিরিক্ত মানুষের মৃত্যু হয়।
# ১৯৯১ সালের ৩০শে এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে ১,৩৯,০০০ জনের মৃত্যু হয়।
#১৯৯৩ সালের জুন মাসে ঝড়ে ২,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
মন্তব্য চালু নেই