গার্লফ্রেন্ডের লাথিতে বয়ফ্রেন্ডের মৃত্যু

ঘুমের মধ্যে উচ্চস্বরে নাক ডাকায় এক মহিলা লাথি মেরে বিছানা থেকে ফেলে দিয়েছেন তার বয়ফ্রেন্ডকে। কিন্তু তার ভুল ভাঙ্গল তখন, যখন তিনি বুঝতে পারলেন যে এটা ছিল তার ফ্রেন্ডের শেষ নিশ্বাস। যুক্তরাজ্যের নর্দাম্পল্যান্ডে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে।
লিসা লি নামের ওই মহিলা জানান, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে নিশ্চিত হয়েছিল যে, তার সঙ্গী লুইসের যে হার্টের সমস্যা ছিল সেটা সামান্য। চিকিৎসকরা তাদের জানিয়েছিলেন তারা দীর্ঘ ও সুখী জীবন-যাপন করতে পারবেন।
২৫ বছর বয়স্ক মি. লুইসের হার্টের সামান্য সমস্যা ছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। কিন্তু তার সঙ্গী মধ্যরাতে যেটা শুনলেন এক কথায় তা অস্বাভাবিক। তিনি বলেন, ‘সে যেভাবে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছিল তখন মনে হয়েছিল কেউ যেন বাতাসের মধ্যে আওয়াজ তুলছে।’
লিসা লি এখন আদালতে আবেদন জানিয়েছেন, যারা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাদের ইন্টারনাল ডিফেব্রিলেটর (যেটা সংকটময় মুহূর্তে হার্টকে পাম্প করবে) যেন সরবরাহ করা হয়। তিনি বলেন, ‘লুইসের এই সমস্যা ধরা পরার পর চিকিৎসক আমাদের জানিয়েছিলেন আমরা দীর্ঘ ও সুখী জীবন উপভোগ করতে পারব কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই সব শেষ হয়ে গেল।’
তিনি বলেন, ‘মধ্যরাতে সে উচ্চস্বরে নাক ডাকছিল, তাই আমি তাকে লাথি মেরে থামতে বলেছিলাম। কিন্তু পরক্ষণেই আমি বুঝতে পারলাম সে হাঁপাচ্ছে এবং উচ্চস্বরে শ্বাস নিচ্ছে। আমি আলো জ্বাললাম এবং দেখলাম যে তার চেহারা গোলাপি হয়ে গেছে। সে আর নিশ্বাস নিতে পারছিল না। আমি অ্যাম্বুলেন্স খবর দিলাম। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করল।’

লিসা লি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ইন্টারনাল ডিফেব্রিলেটর আমার সঙ্গীর জীবন বাচাতে পারত। আমি চাই যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত সেটা ছোট হোক বা বড় তারা এই ধরনের ইন্টারনাল ডিফেব্রিলেটর ব্যবহার করবে। এটা নীরব ঘাতক। আমি এই সম্পর্কে জন সচেতনতা বাড়াতে চাই।’
লুইসের এই সমস্যা ধরা পড়ার পর এই যুগল ইংল্যান্ডের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শের জন্যে গিয়েছিলেন। তারা সবাই তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন লুইসের সমস্যা তেমন গুরুতর নয়।
মি. লুইস নিউক্যাসেলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি তার এই সমস্যার জন্যে কোনো ওষুধ নিতেন না এবং সুন্দরভাবে তার দৈনন্দিন কাজ-কর্ম পরিচালনা করতেন বলে জানান তার সঙ্গী লিসা। তিনি এখন তার সন্তান লুইসের মত হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত কিনা এই নিয়ে চিন্তিত।
তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারে যেটা ঘটেছে আমি চাইলেও সেটা পরিবর্তন করতে পারব না। কিন্তু আমি অন্য পরিবারগুলোকে এমন শোকের হাত থেকে বাচাতে চাই।’



মন্তব্য চালু নেই