গারো তরুণীকে গণধর্ষণ : মিলেছে একজনের নাম
চলন্ত মাইক্রোবাসে গারো তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় এক ধর্ষকের নাম পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ নাম প্রকাশ করছে না।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের উপ-কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির গুলশানে নিজ কার্যালয়ে একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করছে। এক জনের নাম পাওয়া গেছে। তবে তাকে এখনো সনাক্ত করা যায়নি।’
নাম জানা গেলেও কেন সনাক্ত করা যায়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভুক্তভোগী তরুণী ধর্ষণকারীদের পূর্ব পরিচিত নন, তাই নাম জানা গেলেও সরাসরি বলতে পারছে না সে কে। ওই তরুণীকে গাড়িতে তোলার পর ধর্ষণকারীদের কাছে একটি ফোন আসে। এসময় একজন অপরজনের নাম সম্বোধন করে ফোনে কথা বলতে থাকে। সেই নামটিই আমরা পেয়েছি।’
ওই তরুণীর কর্মস্থল এবং ঘটনাস্থলে কোথাও সিসি ক্যামেরা ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যেহেতু সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পাওয়া যায়নি, আমাদের অন্যভাবে ধর্ষণকারীদের সনাক্ত করতে হবে। তদন্ত কাজ এগিয়ে নিতে এরই মধ্যে কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও তদন্তে নেমেছে।’
পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ওই তরুণীকে গাড়িতে ওঠানোর স্থান এবং পুরো রাস্তায় যেখানে যেখানে মনে করতে পারবেন সে স্থানগুলোকে তদন্তের আওতায় আনা হবে। সিটি ক্যামেরা থাকলে তাও সংগ্রহ করা হবে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ সাধারণত এ ধরনের ঘটনা একজন পরিদর্শক তদন্ত করে থাকেন। এক্ষেত্রেও সেটা মানা হয়েছে ‘
ঘটনার পর ভুক্তভোগীদের মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয় ঘটে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওই তরুণীকে আমরা কাউন্সেলিং থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করছি। মামলার পর পরই তাকে তেজগাঁওয়ের ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে সব সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।’
খুব শিগগিরই ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে জানিয়ে উপ-কমিশনার বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিকদের) স্বল্প সময়ের মধ্যে ‘ব্রেক থ্রু’ জানাতে পারবো বলে আশা করছি।
বৃহস্পতিবার রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে এক গারো তরুণীকে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে পাঁচ যুবক গণধর্ষণ করে উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডে ফেলে যায়। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ওই তরুণী বাদী হয়ে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ২৬।
মামলার পর শনিবার ওই তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। সাত দিন পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই