গাজীপুরে প্রথম তথ্য-প্রযুক্তি আইন মামলায় গ্রেফতার অভিযান ॥ বাংলাভূমি কার্যালয়ে আলামতসহ কম্পিউটার জব্দ

পত্রিকা ও ফেইসবুকে ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার অভিযোগে গাজীপুরে প্রথম তথ্য-প্রযুক্তি আইন মামলায় সাপ্তাহিক বাংলাভূমি পত্রিকা কার্যালয়ে গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেছেন এবং অভিযুক্ত বিষয়ে আলামত পাওয়ায় একটি কম্পিউটার জব্দ করেছেন জয়দেবপুর থানা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার, ৬ জানুয়ারি দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে বিকেল ৩ টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ি রোডস্থ সাপ্তাহিক বাংলাভূমি পত্রিকা কার্যালয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার এসআই ফায়জুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানের সময় মামলার কোন আসামিকে পত্রিকা কার্যালয়ে পাওয়া না যাওয়ানি। এ সময় কার্যালয়ে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটারে অভিযুক্ত বিষয়ে আলামত পাওয়ায় তা জব্দ করে জয়দেবপুর থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মামলার সকল আসামিরা পলাতক রয়েছেন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার এসআই ফায়জুর রহমান স

জয়দেবপুর থানার ওসি খন্দকার রেজাউল করিম রেজা জানান, গাজীপুর থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাভূমি’ নামে ওই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক নজরুল ইসলাম আজহারসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গাজীপুরে প্রথম তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাংলাভূমির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ মোকছেদুল আলম লিটন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, উপদেষ্টা মো. আব্দুস সাত্তার খান, বার্তা সম্পাদক, বিশেষ প্রতিনিধি, স্টাফ রিপোর্টার ও ওয়েব মাস্টার।

মামলাটি দায়ের করেন ওয়েব পোর্টাল ডিয়ারজুলীয়াস.কম এর স্বত্বাধিকারী ও প্রধান সম্পাদক; তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, গাজীপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি এবং জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য জুলীয়াস চৌধুরী। জয়দেবপুর থানায় দায়েরকৃত মামলাটির রেকর্ড নং ৮।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কাপাসিয়া নিবাসী বিতর্কিত সাংবাদিক নজরুল ইসলাম আজহার ও তার অপর ৭ সহযোগি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তার পত্রিকা ও ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে আসছিল মামলার বাদী জুলীয়াস চৌধুরীর বিরুদ্ধে। যাতে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাপক ব্যাহত হয় এবং মানহানি ঘটে।

উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অপব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর সংশোধিত আইন ২০১৩ অনুযায়ী আইনতঃ অজামিনযোগ্য দণ্ডনীয় অপরাধ (৫৭ ধারা)। যার সর্বনিম্ন ৭ বছর থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ কোটি টাকা জরিমানা।



মন্তব্য চালু নেই