গাজীপুরের ‘জঙ্গি আস্তানায়’ যেভাবে অভিযান

গাজীপুরের দুটি পৃথক ‘আস্তানায়’ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও পুলিশের অভিযানে নয় ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে। শনিবার সকাল ও বিকেলে এ দুটি অভিযান চালানো হয়। দুটি স্থানের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। পুলিশ দাবি করেছে, এ অভিযানে নব্য জেএমবির প্রধান আকাশ নিহত হয়েছে।

একই দিন টাঙ্গাইলেও আরেকটি অভিযানে আরো দুই ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই দিনে দুই জেলার তিনটি স্থানে অভিযানে ১১ ‘জঙ্গি’ নিহতের ঘটনা ঘটল।

এখানে পুলিশের বরাতে গাজীপুরের দুটি ‘আস্তানায়’ অভিযানের বর্ণনা তুলে ধরা হলো।

গাজীপুরের সদর উপজেলার হারিনাল পাতারটেক এলাকা। দোতলা একটি বাড়ি। সকাল ৯টার দিকে বাড়িটি ঘেরাও করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই বাড়িতে জঙ্গিরা আস্তানা গেঁড়েছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করে।

জেলার পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, ঘেরাওয়ের পর নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল ওই বাড়িতে জঙ্গি সদস্যরা সেখানে আছে কি না। পরে ডিবির সদস্যরা এ ব্যাপারে নিশ্চিত হন। নিশ্চিত হওয়ার পরই পুলিশের বিশেষায়িত দল সোয়াতকে খবর দেওয়া হয়। সোয়াতের সঙ্গে যোগ দেয় গাজীপুর জেলা পুলিশ।

অভিযান শুরুর আগে ভেতরে থাকা জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ও জঙ্গিদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর সোয়াতের দল বাড়িটিতে প্রবেশ করে। ভেতরে পাওয়া যায় সাত ‘জঙ্গি’র লাশ।

চারজন সদস্য এ বাসাটি ভাড়া নিয়ে থাকত। বাকি তিনজন পরে এসে যোগ দেয়। পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, নিহতদের একজন আকাশ। যিনি নব্য জেএমবির নেতা।

বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জানান, অভিযান সফল হয়েছে। এর ফলে নব্য জেএমবির শক্তি খর্ব হয়েছে।

হারিনালের পাতারটেক থেকে এক কিলোমিটার দূরে লেবুবাগান। আজাহার আলী মাস্টারের দোতলা বাড়ি। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, নব্য জেএমবির সদস্যরা ওই বাড়িতে আছে তা জানতে পারে পুলিশ।

বাড়িটি ঘেরাও করে অবস্থান নেয় পুলিশ। তাই অভিযানের আগে নিচতলার মানুষদের সরিয়ে ফেলা হয়।

একপর্যায়ে বাড়ির ভেতর থেকে গুলি করা হয়। এ সময় পুলিশও নিরাপদে অবস্থান নিয়ে গুলি করে। পরে ওই বাড়ি থেকে দুই ‘জঙ্গির’ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই