গাজীপুরের কারখানায় আগুন : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩
গাজীপুরে ‘আগামী ওয়াশিং কারখানা’য় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ সাত শ্রমিকের মধ্যে দুলাল হোসেন (২৬) নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান। দগ্ধ চার শ্রমিক বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বলেন, দুলাল হোসেনের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এত দিন তিনি আশঙ্কার মধ্যে ছিলেন।
দুলাল হোসেন নিলফামারীর জলঢাকা উপজেলার উত্তর কাজীর হাট গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি গাজীপুরের চন্দ্রায় থেকে আগামী ওয়াশিং কারখানায় কাজ করতেন।
এর আগে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই ঘটনায় দগ্ধ শ্রমিক আবুল হোসেন (৫০) মারা যান। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
২৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপেুরের চন্দ্রায় আগামী ওয়াশিং লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় সাত শ্রমিক দগ্ধ হন। তাদের ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত পৌনে ৮টার দিকে রেহানা আক্তার (২৮) নামে এক শ্রমিক মারা যান।
চিকিৎসাধীন অপর শ্রমিকরা হলেন- রেহানা আক্তারের স্বামী মোহাম্মদ ইয়াসিন (৪৫), ফজলুর রহমান (২৩), জাহিদুল ইসলাম (৩৪) ও আবদুল মালেক (৩০)।
ডেকো গ্রুপের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান আগামী ওয়াশিং লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহাগ শেখ রুদ্র জানান, সকালে রান্না করার সময় অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার অপূর্ব জানান, বন্ধ কারখানাটির সংস্কার কাজে নিয়োজিত কয়েক শ্রমিক কম্প্রেসার রুমে ঘুমিয়েছিলেন। ভোরে সেখানে এক নারী শ্রমিক লাকড়ি দিয়ে চুলায় রান্না করছিলেন। চুলার আগুন কম্প্রেসার মেশিনের গ্যাসের সংস্পর্শে গেলে আগুন ধরে যায়। আগুনে সাত শ্রমিক দগ্ধ হন।
মন্তব্য চালু নেই