গল্প নয় সত্যি! ধার করে বিয়ে করছেন তৃণমূল বিধায়ক

বিয়ে করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন অনেকেই। সৌজন্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত। আম আদমির মতো এই একই গেরোয় পড়লেন রাজ্যের শাসক দলের এক বিধায়ক। ছেলে বা মেয়ে নয়, নিজে বিয়ে করতে গিয়েই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা না তুলতে পেরে এখন ধার করতে হচ্ছে তাঁকে।

আগামী ২৫ নভেম্বর নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের বিয়ে। ২৭ তারিখ বৌভাতের অনুষ্ঠান। আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য সত্যজিৎবাবুর ভাই সুমিতবাবুর বিয়েও একই দিনে ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর এক সিদ্ধান্তে এখন কার্যত লোকের কাছে হাত পেতে নিজের এবং নিজের ভাইয়ের বিয়ের খরচ জোগাড় করতে হচ্ছে সত্যজিৎবাবুকে। হাজার হোক জনপ্রতিনিধি। তার উপরে দুই ভাইয়ের একসঙ্গে বিয়ে। ফলে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা একেবারে কম নয়। বিয়ের বাজেট ছিল প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। কিন্তু বিধিনিষেধের জেরে ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক হাজার টাকা তুলতে গিয়েই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেখানে এত টাকা জোগাড় করাই মুশকিল। হাতে যে ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট রয়েছে, বিধায়কের মুখের দিকে তাকিয়েও তা এখন আর কেউ খুশি মনে নিতে চাইছেন না। ফলে, একরকম বাধ্য হয়েই ধার করতে হচ্ছে সত্যজিৎবাবুকে। কেটারার, ডেকরেটরের মতো অনেকের কাছেই টাকা বাকি রাখছেন।

সত্যজিৎবাবুর কথায়, ‘আমি একজন জনপ্রতিনিধি। আমি ধার চাইলে হয়তো কেউ না বলতে পারবেন না। কিন্তু যে সমস্ত সাধারণ মানুষের বাড়িতে এমন অনুষ্ঠান রয়েছে, তাঁরা কোথায় যাবেন?’ সত্যজিৎবাবুর যুক্তি খণ্ডন করার উপায় নেই। প্রধানমন্ত্রী নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মানুষের এমন ভোগান্তির কথাই তুলে ধরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোট বাতিলের বিরোধিতায় জেলা এবং শহরে কলকাতায় লাগানো তৃণমূলের ব্যানার, পোস্টারেও অনুষ্ঠান বাড়িতে অসুবিধার কথা তুলে ধরা হয়েছে। দলেরই এক বিধায়ক যে এমন সমস্যায় পড়বেন, তা কি ভেবেছিলেন তৃণমূল নেতারা?



মন্তব্য চালু নেই