গরুর পেটে অদ্ভুত ছিদ্র, ঢুকে যাচ্ছে মানুষের হাত! কী হচ্ছে এ ভাবে

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই পদ্ধতি নতুন কিছু নয়। ১৮৩৩ সাল থেকেই এই জাতীয় পদ্ধতিতে গরুর অন্ত্রে নজর রাখা হয়।

কখনও কোনও গরুর পেটের মধ্যে উঁকি মেরে দেখেছেন? কখনও ভেবেছেন গরুর পেটের মধ্যে হাত ঢোকানোর কথা? ভাবতেই গা ঘিনঘিন করে উঠছে তো? অথচ সুইৎজারল্যান্ডের গ্রাঙ্গেনিউভের অ্যাগ্রোস্কেপের গবেষকরা নিত্য এই কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই সমস্তটাই করা হচ্ছে গরুর স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষ্যে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সুইৎজারল্যান্ডের পশুবিজ্ঞানীরা গরুদের অজ্ঞান করে তাদের পেটের এক পাশে একটি ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ছিদ্র বা নালীপথ তৈরি করে দিচ্ছেন। এই ছিদ্রের সাহায্যে গরুর অন্ত্রে পরিপাক ক্রিয়া কেমন চলছে, সেই সম্পর্কে ধারণা তৈরির চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।

পরীক্ষামূলক ভাবে গরুদের ওট এবং ঘাষের মিশ্রণ খাওয়ানো হচ্ছে। তার পর যখন সেই অর্ধ-পাচিত খাবার খাদ্যনালী বেয়ে রুমেন (অন্ত্রের প্রথমাংশ)-এ পৌঁছচ্ছে, তখনই গরুর পেটের ছিদ্রের ঢাকনা খুলে সেই অর্ধপাচিত খাবারের কিছুটা অংশ বিজ্ঞানীরা তুলে নিচ্ছেন পরীক্ষার জন্য। কখনও বা গরুর পেটের ঢাকনা খুলে নিছক তাদের পেটের মধ্যেকার পরিপাক ক্রিয়ার হালহকিকত দেখছেন।

বিজ্ঞানীদের দাবি, এই পরীক্ষার মাধ্যমে গরুদের পক্ষে আরও স্বাস্থ্যকর ডায়েট নির্ধারণ সম্ভব হবে। তাঁরা বলছেন, তাঁরা গরুদের জন্য যে খাদ্যতালিকা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন তা মেনে গরুদের খাবার খাওয়ানো হলে গরুর দেহ থেকে মিথেন গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ কমে যায়। পরিণামে বৃদ্ধি পায় গরুদের কার্যক্ষমতা।

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই পদ্ধতি নতুন কিছু নয়। ১৮৩৩ সাল থেকেই এই জাতীয় পদ্ধতিতে গরুর অন্ত্রে নজর রাখা হয়। যদিও বিষয়টি গবাদি পশুদের পক্ষে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক বলেই মনে করেন বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, এই ভাবে গরুরদের স্বাস্থ্যোন্নতির নামে আদপে তাদেরকে কষ্ট দেওয়াই হচ্ছে।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই