গরমে সবার প্রিয় ৮টি চরম “ক্ষতিকর” পানীয়

এই কাঠফাটা গরমে রোদে পুড়তে পুড়তে একটু ঠান্ডা পানীয়তে গলা ভেজাতে কার না মন চায়! আর রাস্তার পাশে, দোকানে সাজানো নানা ধরনের পানীয় তো আছেই। সময় বাচাতেঁ অনেকেই এ ধরনের পানীয় বেছে নিলেও জেনে নিন এসব পানীয় থেকে আপনি সাময়িক তৃপ্তি পেলেও পরবর্তীতে ভূগতে পারেন নানা পানিবাহিত (জন্দিস, ডায়রিয়া, আমাশয়), ক্রনিক (কিডনী) এমনকি ছোঁয়াচে চর্মরোগেও।
জেনে নিন এ ধরনের ৮ পানীয় সম্পর্কেঃ
১। আখের রসঃ

এই গরমে স্বস্তির জন্যে রাস্তার আখের রসকে অনেকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে বেছে নিলেও জেনে নিন সব চেয়ে বেশি জীবানুযুক্ত পানীয়ের তালিকায় এর স্থান সবার ওপরে। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, অপরিস্কার মাড়াই যন্ত্র যেমন জীবানুর আদর্শ বেড়ে ওঠার জায়গা। তেমনি একই গ্লাসে নানা মানুষের চুমুকের ফলে সেখান থেকে ছড়াতে পারে ছোঁয়াচে নোংরা রোগ। এছাড়া নোংরা পানিতে গ্লাস ধোয়ার ফলে জীবানুর সংক্রমণ হবেই সেখানে।
২। রাস্তার লেবুর শরবতঃ

রাস্তার লেবুর শরবতের মত ফ্রেশ আর কি আছে! তাই তো? কিন্তু জেনে নিন এতে ব্যবহৃত বরফ মাছে ব্যবহারের দূষিত পানি দিয়ে তৈরী। ফিল্টারের পানির বিশুদ্ধতা সম্পর্কে গ্যারান্টি নেই। আর এটি পানে আপনি নানা ধরনের পেটের অসুখে আক্রান্ত হতে পারেন আর তা রূপ নিতে পারে জন্ডিস বা দীর্ঘমেয়াদী ক্রনিক আমাশয়েও!
৩। কোল্ড ড্রিঙ্কসঃ

কোক, পেপসি জাতীয় নানা কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত কোমল পানীয়কে তৃষ্ণা মেটাবার প্রথম পছন্দ হিসেবে অনেকেই বেছে নিলেও এগুলো ভয়াবহ ক্ষতিকর। আপাতত আপনার তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হলেও এগুলো দেহে পানিশূন্যতা, শরীরেরে অতিরিক্ত ওজন সহ আরো নানা শারীরিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
৪। রাস্তার ফলের শরবতঃ

রাস্তায় বিক্রি হতে থাকা তরমুজ, কাঁচা আম, বেলসহ নানা মৌসুমী ফলের মুখরোচক শরবত দেখে যতই জিভে জল আসুক, এগুলো পুষ্টির বদলে আপনার দেহের ক্ষতিই বেশি করে থাকে। এতে ব্যবহৃত দুষিত পানি ও বাতাসের ভাসতে থাকা বিভিন্ন জীবানুর কারণে নানা দীর্ঘমেয়াদী পেটের অসুখ হতে পারে।
৫। জুসঃ

নানা ধরনের প্যাকেটজাত ফলের জুস আপনার ক্ষণিকের তৃষ্ণা মেটালেও এতে আসল ফলের পরিমাণ খুবই কম থাকে এবং অনেক ক্ষেত্রে থাকেই না। এর কেমিকেল আপনার নানা ধরনের রোগ তো বটেই কিডনির সমস্যার জন্যেও দায়ী হতে পারে।
৬। টেস্টি স্যালাইনঃ

গরমে দেহের লবন ও পানিশূন্যতা রোধে অনেকেই টেস্টি বা ফ্রুটি স্যালাইনকে বেছে নেন। কিন্তু এসব স্যালাইন শরীরের জন্যে মোটেই উপকারী নয় বরং ক্ষতিকারক। ডাক্তাররা এসব স্যালাইন থেকে দূরে থাকতে বলেন সব রোগীকেই। এসব স্যালাইনের কোন স্বাস্থ্য উপকারিতা তো নেইই! বরং এতে ব্যবহ্রিত নানা কেমিকেলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
৭। চায়ের দোকানের ফিল্টার পানিঃ

চায়ের দোকানের ফিল্টার পানি মোটেই বিশুদ্ধ নয়। কমদামী জারের পানির মান সম্পর্কে কোন নিশ্চয়তা না থাকায় এ থেকে কেবল পানিবাহিত নানা পেটের অসুখই নয় বরং হতে পারে আর্সেনিকোসিসও!
৮। চা ও কফিঃ

রোদে ও গরমের কারণে শরীর হয়ে পড়ে ক্লান্ত। ক্লান্তি ও মাথাব্যাথা তাড়াতে বা অভ্যাসবশত অনেকেই কফি ও চা খেয়ে থাকেন। কিন্তু কফি ও চায়ে থাকা ক্যাফেইন শরীরে পানিশূন্যতার মাত্রা বাড়ায়। ফলে শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

কোন পানীয় পানের আগে চেষ্টা করুন এর বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে। ব্যাগে পানির বোতল রাখুন। পান করুন সাধারণ খাবার স্যালাইন। গরমেও থাকুন সুস্থ, সুন্দর।



মন্তব্য চালু নেই