গরমে উপকারী যেসব খাবার

খাবার ছাড়া আমরা অচল, বেঁচে থাকা অসম্ভব। খাবারই আমাদের কর্মক্ষম রাখে। কিন্তু সেটা হতে হবে স্বাস্থ্যকর। গরমের দিনে আমরা একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি, একটানা বেশি কাজ করা সম্ভব হয় না। গরমে কর্মক্ষমতা ও এনার্জি বাড়ানোর জন্য দরকার বিশেষ ধরনের খাদ্য। এছাড়া শক্তিসমৃদ্ধ খাবার নানা রোগ প্রতিরোধ ও উপশমে সাহায্য করে। তাই এ গরমে কিছু খাবার অবশ্যই আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখা দরকার।

তরমুজ : কাজের চাপে সবসময় নিয়ম করে জল খাওয়া হয় না। কিন্তু গরমে খুব প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। এই জলের প্রয়োজন অনেকখানিই মেটায় তরমুজ। তবে শুধু গরমে শরীরে জলের জোগানই দেয় না তরমুজ, বরং তরমুজ খেলে বাড়ে স্মৃতি শক্তি।

আইস কফি : গরম কাল মানেই শুরু হয় ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া। কোল্ড ড্রিংকস, আইসক্রিম ছাড়াও আরও একটা খাবার গরমে খুব বেশি খাওয়া হয়, আইস কফি। রোজ যদি এক কাপ করে আইস কফি খাওয়া যায় তবে চামড়ার ক্যানসারের বিপদ অনেকখানি কমে যায়।

ভুট্টা : ভুট্টা হলো প্রাকৃতিক সানগ্লাস। ভুট্টার মধ্যে দু’ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরে সূর্যের থেকে যে পিগমেন্টেশন তৈরি হয়, তা হতে দেয় না। শুধু তাই নয় ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের যে অন্ধত্ব দেখা দেয় তার থেকেও রক্ষা করে ভুট্টা।

আইস টি : সকালে উঠে এক কাপ গরম চা খাওয়ার অভ্যাস প্রায় সকলেরই। কিন্তু গরম কালের সকালটা আইস টি দিয়ে শুরু হলে মন্দ হয় না।
গরম কালে শুধু শরীর ঠাণ্ডা রাখে না, সারাবছর এক কাপ করে আইস টি খেলে শক্ত হবে দাঁতের মাড়ি।

টমেটো : গরম কাল এলেই খুব বেশি করে মনে পড়ে টমেটোর কথা। কারণ টমেটো হলো সবথেকে ভালো সানস্ক্রিন। তবে রোজ যদি খাওয়া যায় টমেটোর পেস্ট বা টমেটোর জুস তবে সান বার্নের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। সঙ্গে বাড়বে ত্বকের জৌলুস।

এছাড়াও লাল আলু, মিষ্টি আলু, বিটের মতো মূলসহ খাবার ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। এই ধরনের খাবার অল্প খেলেই পেট ভরে যায়। এদের খোসাতেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এছাড়া এসবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি। এ বিষয়ে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নাসরিন বানু বলেন, গরমে খাবার খেতে হবে একটু বুঝেশুনে কারণ এ সময় রোগের উপদ্রব বেশি থাকে।

ভারী খাবার এবং বেশি তেলযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। পানি ও দেশীয় ফল বেশি খেতে হবে। শস্যজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, মিনারেল, ফাইবার রয়েছে। ফল ও সবজির মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই জাতীয় খাবার। শস্যজাতীয় খাবার হার্টের সমস্যা, ওবিসিটি, কয়েক ধরনের ক্যান্সার, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। শরীরের চাহিদা ঠিকঠাকমতো পূরণ হলে তবেই শরীর সুস্থ থাকে এবং কর্মক্ষমতা বজায় থাকে। গরমের সময় যেহেতু তুলনামূলকভাবে বেশি অ্যানার্জি ব্যয় হয় তাই এই সময়ে খাবারও খেতে হবে জেনে বুঝে। মাঝে মধ্যে স্বাস্থ্যবিদের পরামর্শ নেয়া ভালো।



মন্তব্য চালু নেই