গত বছরের ব্যর্থতা আমরা ভুলতে চাই: মামুনুল

চট্টগ্রামের ছেলে হয়েও গত বছর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তাঁকে থাকতে হয়েছে দর্শক হয়ে। চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দেওয়ায় এবার আর সেই আক্ষেপে পুড়তে হচ্ছে না মামুনুল ইসলামকে। জাতীয় দলের এই মিডফিল্ডার ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় এ ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।

প্রশ্ন : শেখ কামাল ক্লাব কাপে গতবার খেলতে পারেননি শেখ জামালে থাকায়, এবার তো সেই অপেক্ষা ফুরাচ্ছে। কতটা মুখিয়ে আছেন?

মামুনুল ইসলাম : চট্টগ্রামে একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলা আমার জন্য অনেক আবেগের। তবে এই মুহূর্তে আবেগের চেয়ে চ্যালেঞ্জটাই অনুভব করছি বেশি। এমন একটা দলের হয়ে আমি খেলব, যারা আসরের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। চট্টগ্রামের ছেলে হিসেবে চট্টগ্রামের মাঠে পারফর্ম করাটা যেমন আনন্দের, তেমনি চাপও। এবার এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। বলতে পারেন এই আসরটা নিয়েই এখন আমি সবচেয়ে বেশি ভাবছি।

প্রশ্ন : ২০১৭ সালে নিশ্চয় জাতীয় দলের হয়েও নতুন চ্যালেঞ্জ, সামনেই তো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ?

মামুনুল : ২০১৬ সাল কোনো দিক দিয়েই আমাদের ভালো যায়নি। এ বছরটায় আমাদের সেই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ক্লাব ফুটবল কি জাতীয় দল, দুই ক্ষেত্রেই বছরটা আমরা নতুন করে শুরু করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি দায়িত্বটা এখন আমাদের, অর্থাৎ খেলোয়াড়দের কাঁধেই। ফুটবলকে এমন একটা জায়গায় এনে ফেলার দায় নিয়ে আমরা চলতে পারি না। সাত-আট বছর সুনামের সঙ্গে খেলছি, একটা বছরের জন্য সব নষ্ট হয়ে যেতে পারে না।

প্রশ্ন : ৪০-৫০ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হচ্ছে কাল থেকে। এই উদ্যোগকে কিভাবে দেখছেন?

মামুনুল : এটা খুবই দরকারি। আমাদের ক্লাবগুলোর বেশির ভাগই খেলোয়াড়দের জন্য কোনো কন্ডিশনিং ক্যাম্পের ব্যবস্থা রাখে না। কিন্তু এই ক্যাম্পটাই আমাদের সারা বছরের জন্য তৈরি করে দেয়। ফেডারেশন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ায় তাতে খেলোয়াড়রা তো অবশ্যই, ক্লাবগুলোও উপকৃত হলো। আমরা যেমন এই ক্যাম্পে দিন পনের থেকেই শেখ কামাল টুর্নামেন্ট খেলার জন্য ক্লাবে চলে যাব। তখন আমাদের ফিটনেস নিয়ে আর বাড়তি কাজ করতে হবে না।

প্রশ্ন : এই ধরনের ক্যাম্পে প্রধান কোচের থাকা না থাকাটা তাহলে খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়?

মামুনুল : না, আমার মনে হয় না। এখানে তো শুধু ফিটনেস নিয়ে কাজ হবে। খেলোয়াড় বাছাই করারও ব্যাপার নেই।

প্রশ্ন : জাতীয় দলের কোচ হিসেবে জর্জ কোটানের নাম শোনা যাচ্ছে। আপনার তো তাঁর অধীনে খেলা হয়নি কখনো?

মামুনুল : কোচ ক্লাবে না খেললেও উনিই প্রথম বিদেশি কোচ যাঁর অধীনে ১৫-২০ দিনের একটা অনুশীলন সেশন করেছিলাম। সেটা সেই ২০০১ সালে।-কালেরকন্ঠ



মন্তব্য চালু নেই