গণসংবর্ধনা আমি পছন্দ করি না
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণসংবর্ধনা আমি একদম পছন্দ করি না। কারণ আমি মাত্রই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি। এখন পর্যন্ত এমন কোনো কর্মকাণ্ড করিনি যে আমাকে গণসংবর্ধনা দিতে হবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে নোয়াখালী জেলা সমিতি, ঢাকার পক্ষ থেকে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় আয়োজিত গণসংবর্ধনায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সম্মেলনে সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি কিন্তু এতদিন ধরে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ডে অভিনন্দন ও স্লোগান চলতে থাকে। এসব অভিনন্দনে সিক্ত হয়ে আমার মধ্যে অহঙ্কারবোধ তৈরি হতে পারে।’
সাধারণ সম্পাদক বলেন, জেলা সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক আমাকে এ ধরনের আয়োজন (গণসংবর্ধনা) সম্পর্কে অবহিত করেন। আমি তাদের স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছিলাম আমি কোনো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাবো না, নোয়াখালীর মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবো যা অনেক শোভন। গণসংবর্ধনা আমি একদম পছন্দ করি না। তারপরও আমি তাদের দেয়া কথা রেখে এখানে এসেছি। কিন্তু তারা আমাকে দেয়া কথা রাখেনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালী এখন আওয়ামী লীগের দুর্গ নয়, আগে এক সময় ছিল আর এখন হচ্ছে। সেখানে আমাকে শেখ হাসিনা স্বীকৃতি দিয়ে নোয়াখালীকে সম্মানিত করছে। সেনাবাহিনীর প্রধান নোয়াখালীর, ডিজিএফআইয়ের প্রধান নোয়াখালীর। তাদের মুখ দেখে করেননি, কাজের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাই আমি বলবো, কোনো স্বার্থে আঘাত লাগলে আমাকে ভুল বুঝে নেত্রীকে বিব্রত করবেন না। নেত্রীর পছন্দ-অপছন্দকে বিব্রত করবেন না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হাসেম, সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ, আয়েশা ফেরদৌসী, শিল্পপতি জসিম উদ্দিন, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই