গণবিতে নাটক ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও ‘গাধারহাট’ মঞ্চায়িত

বিধান মুখার্জী, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : বর্তমান সমাজের বন্দুক ও গাধার ব্যবহারকে রুপক অর্থে তুলে ধরে আসল সমাজ ব্যাবস্থার প্রতিফলনে তারিক আনাম খানের পরিকল্পনা এবং রুপান্তর নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার(১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পি এইচ এ ভবনে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ এবং ‘গাধারহাট’ নাটকদ্বয় মঞ্চায়িত হয়েছে। গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও নাট্যকেন্দ্রের যৌথ প্রযোজনায় নাটক ‘বন্দুকযুদ্ধ’ এবং ১০ মিনিটের অন্তর্বর্তীকালীন বিরতির পর নাটক ‘গাধারহাট’ দর্শক-শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করে।

হাসি-আনন্দমূলক ও সমাজকেন্দ্রিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তাবহ নাটকটির দর্শক সারিতে ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্তজা আলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরেজিস্ট্রার আবু মোহাম্মদ মোকাম্মেলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক,প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।

বহুদিনের ঐতিহ্যকে লালন করে সংস্কৃতমনা মানুষ বারবার সমাজের অসঙ্গতিকে তুলে ধরেছে তার সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে।গল্প, কবিতা, উপন্যাস আর নাটকে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে সমাজের অপশাসন আর জরাজীর্ণ আকুলতা। আর তারই ধারাবাহিকতায় বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাকে হাসি, আনন্দ আর ব্যাথাতে রুপান্তর করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে এমনটাই অনুভূতি ব্যক্ত করলেন নাটকটির নির্দেশক নাট্যকার ইউসুফ হাসান অর্ক।

নাটক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের সাহিত্য ও ম্যাগাজিন বিষয়ক সম্পাদক এবং নাট্যানুষ্ঠানের অন্যতম সমন্বয়ক ইউসুফ হাসানের কাছে নাটকের ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন “শিক্ষার্থীদের মঞ্চনাটকের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব এবং মঞ্চনাটকের বহুদিনের বয়ে চলা ঐতিহ্য ও আদর্শের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত নাট্যানুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে।” এছাড়াও শিক্ষার্থীরা সুস্থধারার বিনোদনের সাথে থেকে আদর্শ নাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।



মন্তব্য চালু নেই