খোকা ও ওসমান ফারুকের বিবৃতি
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ও সর্বাত্মক আন্দোলনের মুখে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবর্তে যে কোন ধরনের দমন-পীড়ন, কূটকৌশল তাদের জন্য করুণ পরিণতি ডেকে আনবে।
তারা বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের কার্যত কোন ভিত্তিই নেই। শুধু অতিসংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের অসৎ উদ্দেশ্যে এ ধরনের মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, দেশজুড়ে চলমান গণআন্দোলনের মুখে পতনোন্মুখ অবৈধ সরকার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জনগণের আন্দোলন-লড়াইয়ে নেতৃত্ব প্রদান থেকে নিষ্ক্রিয় করার অপকৌশলের অংশ হিসেবে একটি সাজানো মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নগ্নভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে বর্বরোচিত কায়দায় বিরোধী নেতাকর্মীদের গুলি চালিয়ে হত্যা, নির্যাতন ও গ্রেফতার করেও আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হয়ে সরকার জুলুমবাজির এই নতুন পথ বেছে নিয়েছে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় জানাতে চাই, এই সরকার দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ সরকার। দেশে-বিদেশে ইতিমধ্যেই ব্যাপকভাবে তা প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সম্পূর্ণ রূপে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এমন দুটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরকার মূলত এটাই প্রমাণ করেছে যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের কার্যত কোন ভিত্তিই নেই।
তারা বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত, চতুর্মুখী দমন-পীড়ন ও বর্বরোচিত হত্যা-নির্যাতন সত্ত্বেও দেশবাসী নিজেদের অপূরণীয় ক্ষতি শিকার করে টানা দুই মাস ধরে যে আন্দোলন চালিয়ে নিচ্ছেন। স্বাধীন বাংলাদেশ এমনকি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসেও তা এক অভূতপূর্ব দৃষ্টান্ত। এই আন্দোলনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দলগুলো ছাড়াও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারা, ড. কামাল হোসেনের গণফোরাম, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি এবং আ স ম আব্দুর রবের জাসদসহ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আজ একাত্ম। আন্দোলনের এ চূড়ান্ত ধাপে বেগম জিয়ার মতো একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেত্রীকে ঘিরে সরকারের অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ জনগণের চলমান আন্দোলনকে দ্রুত সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে, সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল মহলের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য চালু নেই