খেতে চাইল পানি, মিলল গণপিটুনি
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে মো. আতিকুর রহমান (৩০) নামের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে।
আতিকুর নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। আতিকের বাবাও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। গুরুতর আহত আতিকুরকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আতিকুরের মা মিনারা বেগম ও কালীগঞ্জের উলুখোলা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, তিন মেয়ে আর এক ছেলের মধ্যে আতিকুর সবার ছোট। স্বামী কফিল উদ্দিন ও একমাত্র ছেলে আতিকুর উভয়েই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় রাস্তার পাশে পিঠা বিক্রি করে সংসার চালান মিনারা। শুক্রবার দিবাগত রাতে আতিকুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নদী সাঁতরে কালীগঞ্জের পাড়ে উঠে পানি খাওয়ার জন্য স্থানীয় আড়াবান্দাখোলা গ্রামের করুণা রায়ের বাড়িতে যান। এ সময় তাঁকে দেখে ওই বাড়ির শিশু ও নারীরা ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ডাকাত সন্দেহে আতিকুরকে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আতিকুরকে উদ্ধার করে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আতিকুরকে বেশির ভাগ সময়ই পায়ে শিকল বেঁধে রাখা হতো। শুক্রবার দিন একটু ভালো দেখে তাঁর পায়ের শিকল খুলে দিলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আতিকুর একজন প্রতিবন্ধী এবং দরিদ্র। আমি নিজে তার জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। তবে ওর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সত্যি খুব অমানবিক।’
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, আতিকুরকে তাঁর পরিবারের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই