খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্ম তারিখ!
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাসপোর্টের দু’টি ছবি সম্প্রতি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
প্রথম পাসপোর্টটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৪ সালের মে মাসে। সেটিতে খালেদার জন্মতারিখ লেখা আছে ৫ আগস্ট, ১৯৪৬। আর দ্বিতীয় ছবিটি নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের। ওই পাসপোর্টেও খালেদার জন্মদিন ৫, আগস্ট ১৯৪৬। খরব ঢাকাটাইমস
এই দু’টি পাসপোর্ট যদি ভুয়া না হয় তাহলে খালেদা জিয়ার মোট জন্ম তারিখের সংখ্যা দাঁড়াবে পাঁচটিতে- ৫ আগস্ট, ১৯৪৪; ৫ আগস্ট, ১৯৪৬; ১৯ আগস্ট, ১৯৪৭; ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬ এবং ১৫ আগস্ট, ১৯- (সালের উল্লেখ নেই)।
খালেদা জিয়ার পাঁচটি জন্মতারিখ!
প্রসঙ্গত, ১৯৯০-র দশকের শেষদিক থেকে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে জন্মদিবস উদযাপন শুরু করেন। এর আগে তার জন্মদিবস উদযাপনের কোনো খবর পাওয়া যায় না।
কিন্তু তার জন্মদিবস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষীকি ও জাতীয় শোক দিবসের সঙ্গে মিলে যায়।
এর আগে গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনেও তার ভিন্ন ভিন্ন জন্মতারিখের উল্লেখ করা হয়। একটি প্রতিবেদনে বলা হয় খালেদা তার মেট্রিক পারীক্ষা পাশের সনদে জন্মতারিখ উল্লেখ করেছেন ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬।
খালেদার বিয়ের সনদে তার জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৫ আগস্ট, ১৯৪৪; আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শপথবানীতে খালেদার জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯ আগস্ট, ১৯৪৭।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবসের মর্যাদা দিয়ে রাষ্ট্রীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেন। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর খালেদা ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোকদিবসের মর্যাদা থেকে বাতিল করে রাষ্ট্রীয় ছুটিও বাতিল করেন। তবে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে হাসিনা পূণরায় ১৫ আগস্টকে আগের মর্যাদা ফিরিয়ে দেন।
খালেদা ১৯৯৫ বা ১৯৯৬ সালের আগে ১৫ আগস্টে তার জন্মদিবস উদযাপন করেন নি। ফলে তার জন্মদিবসের বিষয়টি সবসময়ই একটি বিতর্কিত ইস্যু হিসেবে রয়ে যায়। বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হেয় করার জন্যই খালেদা এই কাজ করেছেন। এর পেছেনে খালেদার ভাবখানা এমন যে ১৫ আগস্ট দেশের জনগণের শোক পালন না করে যেন বা তার জন্মদিবসের খুশি উদযান করা উচিৎ!
তবে বিএনপি সবসময়ই বলে আসছে, ১৫ আগস্টেই খালেদার জন্ম হয়েছে। তারা এমনকি এই প্রশ্নও তুলেছে বঙ্গবন্ধুকে খুনের দিন কি কেউ জন্মগ্রহণ করতে পারবে না। তবে মজার বিষয় হচ্ছে তারা কখনোই খালেদা কোন বছরের ১৫ আগস্ট তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন সেটা পরিষ্কার করে বলেননি।
খালেদা চলতি সপ্তাহেই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাচ্ছেন। সেখানে মেডিকেল চেকআপ করানোর জন্য তিনি একসপ্তাহ অবস্থান করবেন। ঘটনাক্রমে তার এই সফরের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাৎবার্ষীকি ও জাতীয় শোকদিবস উদযাপিত হবে। খালেদা সম্ভবত তার জন্মদিবস উদযাপন সংক্রান্ত বিতর্ক এড়াতেই এবার এসময়ে এসে লন্ডর সফরের দিনক্ষণ ঠিক করেছেন। তবে খালেদার প্রকৃত মনোভাব কী সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আরো কয়েকদিন অপক্ষো করতে হবে।
মন্তব্য চালু নেই