`খালেদা ও গয়েশ্বরকে ক্ষমা চাইতে হবে’

মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

তিনি বলেন, ‘৩০ লাখ শহীদকে এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অস্বীকার করে বাংলাদেশে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। সে কারণে খালেদা জিয়া এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যে বক্তব্য দিয়েছেন এর জন্য তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলে জনগণ বিবেচনা করবে।’

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন অভিমুখে বেশ কয়েকটি সংগঠনের ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মিছিলসহ বিক্ষোভকারীরা খালেদা জিয়ার বাসার দিকে যেতে চাইলে গুলশান-২ নম্বরে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।

সংসদে মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার আইন উত্থাপন করা হবে তারানা হালিম বলেন, খালেদা জিয়াসহ যারা এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করে তাদের বিচার করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব মায়েরা সম্ভ্রম হারিয়েছেন ক্রমাগতভাবে তাদের অপমান করা হচ্ছে। আমরা অনেক সহ্য করেছি। তাই এমন উক্তি মেনে নেব না।’

তারানা হালিম আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ, শহীদদের সংখ্যা এবং মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের অবদানের বিষয়গুলো মীমাংসিত। তাই এ নিয়ে কেউ কেউ কথা বললে তা মেনে নেয়া হবে না।’

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেয়ালে পিঠ ঢেকে গেছে। আমাদের সব শ্রদ্ধার জায়গায় আপনারা হাত দিয়েছেন। আমরা আর মেনে নেব না।’

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে একজন শহীদ সন্তান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধের সব বিষয় মীমাংসা হলেও একটি বিষয় অমীমাংসিত আছে। তা হলো মুক্তিযুদ্ধের সময় নয় মাস তিনি (খালেদা জিয়া) ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানিদের সমাদরে ছিলেন।

বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারাই বলুন তিনি (খালেদা জিয়া) কি এ দেশের মানুষ? তার কি বাংলাদেশের পাসপোর্ট থাকতে পারে?

অবিলম্বে খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট কেড়ে নেয়ার দাবি জানিয়ে এই শহীদ সন্তান বলেন, ‘উদারতা দেখিয়ে আমাদের এই বিষয়টি মীমাংসা না করা আমাদের ভুল ছিল।’

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির এসময় বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রথমেই খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেন কটূক্তি করা না যায়, এজন্য মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন করারও দাবি জানান তিনি।

এ সময় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী সাংবাদিকদের বলেন, খালেদার জিয়ার বক্তব্যে আমি অবাক হইনি। তিনি যেমন সেরকম বক্তব্যই দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুদিনে তিনি কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন। তাকে আর নতুন করে কী চিনব? তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা উচিত।



মন্তব্য চালু নেই