খালেদার লন্ডন সফর সমাপ্তি নভেম্বরে

চিকিৎসার জন্য একমাসেরও বেশি সময় লন্ডনে অবস্থান করা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সফরের সমাপ্তি ঘটবে নভেম্বরে। দেড় মাস পরে আগামী মাসের শুরুতে দেশে ফিরছেন তিনি। তার চিকিৎসা কার্যক্রমও শেষের পথে।

তবে চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকবার ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিএনপি নেত্রীর লন্ডন সফর আবারো বিলম্ব হবে কি না-তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। দলের গুলশান কার্যালয় ও লন্ডন বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে ।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চোখের চিকিৎসা শেষ হলেই দেশে ফিরে আসবেন। তবে কবে ফিরবেন তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লন্ডন যান বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমান ও ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করেন তিনি। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তার চোখের চিকিৎসা চলছে। তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান তার দেখভাল করছেন।

২০০৬ সালে ক্ষমতা হারানোর পর খালেদার এটি দ্বিতীয় সফর। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দেশে ফেরার পথে বড় ছেলে তারেককে দেখতে লন্ডনে গিয়েছিলেন তিনি। বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় (২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা) হুলিয়া নিয়ে গত সাত বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে রয়েছেন।

লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার একটি চোখের অপারেশন এখনও হয়নি। একই সঙ্গে হাঁটুর চিকিৎসাও চলছে তার। বিএনপি নেত্রী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশে ফিরতে পারেন। চলতি মাসের ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার টিকিট বুকিং দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে একাধিকবার টিকিট বুকিং দিয়েও দেশে ফিরেননি বেগম জিয়া।

লন্ডন বিএনপির এক নেতা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের বাম চোখের ছানি অপারেশন করা হয়েছে। এখন আর দ্বিতীয় চোখের অপারেশন করাবেন না তিনি। স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার পায়ের চিকিৎসা চলছে। এটা শেষ হতে এ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

এদিকে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দল পুনর্গঠন কার্যক্রম থেকে শুরু করে বিএনপির যাবতীয় দলীয় কর্মকাণ্ড থমকে আছে। দলটির তৃণমূল থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব পর্যন্ত সবাই তাকিয়ে আছেন তার দেশে ফেরার দিকে। খালেদা জিয়া দেশে ফিরলে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল এবং সব শেষে ছাত্রদলের পুনর্গঠনের অপেক্ষায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট নেতা-কর্মীরা। বিএনপির চলমান পুনর্গঠন কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর কমিটি, ছাত্রদলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট কমিটিও রয়েছে চেয়ারপারসনের অনুমোদনের অপেক্ষায়। তার অনুপস্থিতির কারণে বিএনপির কয়েকটি জেলা কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান নেতারা।



মন্তব্য চালু নেই