খালেদার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ আবদুল আওয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ওই স্থগিতাদেশ দেন।

আদালত এ মামলার কার্যক্রম স্থগিতে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকার ও দুদককে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান।

এ বিষয়ে খোকন বলেন, ‘যেহেতু এই মামলার বিষয়ে নাইকো কর্তৃপক্ষ ওয়াশিংটন ডিসিতে (যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী) একটি মামলা দায়ের করেছে, তাই ওই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে দুদকের মামলার কার্যক্রম চলতে পারে না। আমাদের এই আবেদনটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।’

এর আগে আজ সকালে মামলার কার্যক্রম বাতিল ও স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলা স্থগিত চেয়ে নিম্ন আদালতে আপিল করেন খালেদা জিয়া। সে সময় আপিলটি নামঞ্জুর করা হয়।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।



মন্তব্য চালু নেই