খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম এ পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছরের ২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে ১৭ অক্টোবর সমনের জবাব দিতে খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় মামলার বাদী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম আবেদনটি নথিভুক্ত করে মামলার বাদীর উপস্থিতি ও গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে আদেশের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ২ নভেম্বর এ বিষয়ে আদেশ না দিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান আদেশের জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর ম্যাট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট। তার বিবাহের কাবিননামায় জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।

বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্নের জন্য তিনি জন্মদিন পালন করেন।

এ ঘটনায় ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে খালেদাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।



মন্তব্য চালু নেই