খালেদা জিয়ার দুর্বৃত্তায়নের ফলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বেতার ভবনে বৃহস্পতিবার দু’দিন ব্যাপী বিশ্ব বেতার দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাজেট না বাড়লে কাজ করা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বাজেট বাড়াচ্ছি। এখন জাতীয় আয়ের ১১ শতাংশ বাজেট করা হচ্ছে। ৫ বছর আগে জাতীয় আয়ের সাড়ে আট শতাংশ এবং ১৯৮৩ সালে ছিল ৫ শতাংশ।’

টেলিভিশন ও মোবাইলের বিপ্লবের সময়ও বেতারের আকর্ষণ রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে বেতার যেমন শক্তিশালী ছিল এখনও এর একটি বিশেষ অবস্থান রয়েছে। বেতার এখনও মানুষের জীবনের একটি অংশ হয়ে আছে।’

যুব ও বেতার— প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, সংসদ সদস্য তারানা হালিম ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমেদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন ঢাকা কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক সাইদ মোস্তফা কামাল।

তথ্য সচিব মতুর্জা আহমেদ বলেন, ‘বেতারের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। কিন্তু তারপরও বলব, এর সম্ভাবনাও কম নেই। বেতারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

তারানা হালিম বলেন, ‘যে জাতির স্বপ্ন থাকে সেই জাতিকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। টিভি চ্যানেল অনেক হলেও বেতারের ভূমিকা কমবে না। কারণ গ্রামের মুদি দোকানদার কিন্তু বেতারের নাটকই শুনছেন। বেতার ১৯৭১ সালে যেমন ভূমিকা রেখেছে, এখনও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। ’

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘আকাশে গেলেও বেতারের শব্দ শুনতে পারবেন এবং মর্ত্যে গেলেও বেতারের শব্দ শুনতে পাবেন। তাই বেতারের ভূমিকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।’

একই স্থানে শুক্রবার বিকেলে বেতার দিবসের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।